আজ মা দিবস, মাগো…ওগো দরদিনী মা
আইরীন নিয়াজী মান্না | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:০২ এএম, ৯ মে ২০২১ রবিবার
আজ মা দিবস, মাগো…ওগো দরদিনী মা
মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে/মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পরে/...সেই যে আমার মা/বিশ্ব ভুবন মাঝে যে তার নেইকো তুলনা/ ...প্রদীপ হয়ে মোর শিয়রে কে জেগে রয় দু:খের রাতে/সেই যে আমার মা..../বিশ্ব ভুবন মাঝে যে তার নেইকো তুলনা.../মাগো, ওগো দরদিনী মা…।
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ ‘মা’। ‘মা’ সেতো অনন্ত বিশ্বস্ততার জায়গা। মার কোনো তুলনা হয় না। মার তুলনা ‘মা’ নিজেই। সবচেয়ে ভালোবাসা ও বড় আশ্রয়ের জায়গা ‘মা’।
মা তার সব শক্তি দিয়ে আগলে রাখেন সন্তানকে। তার স্নেহধারায় স্নাত হয়ে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যান সন্তান। মায়ের আশীর্বাদই সন্তানকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করে।
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ কবির এই ভাবনাটি প্রতিটি মায়েরই মনের কথা। একজন সন্তানের কাছে একমাত্র মা-ই চির আপন। মা শ্বাশত, চিরন্তন। সন্তানের সব কথা, সব আবদার-অভিযোগ মা ছাড়া আর কারোর কাছেই করা যায় না।
মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ এই মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশে নানা আয়োজনে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হয় ‘মা দিবস’।
হাজার কষ্ট করে তিলে তিলে যে সন্তানকে বড় করেছেন একজন মা তাকে ঘিরেই মা দিবসে চলে ব্যতিক্রমী উৎসব উদযাপন। এ দিন একটি ফুল অথবা একটি কার্ড নিয়ে শুভেচ্ছা জানালে মা যেন তাতেই খুশি। মায়ের চাহিদাতো এতটুকুই! ছোট-বড়, অখ্যাত-বিখ্যাত সকলের কাছেই মা অসাধারণ, মা সর্বজনীন। মায়ের স্নেহ-ভালবাসা সকলেরই প্রথম চাওয়া ও পাওয়া।
মা দিবসের ইতিহাস: জানা গেছে সভ্যতার প্রথম পর্যায় থেকেই ‘মা’কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন আঙ্গিকে এধরনের উৎসবমুখর অনুষ্ঠান উদযাপন হয়ে আসছে। মা দিবসের আদি উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিসে। আদি পর্বে গ্রিক সভ্যতায় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে প্রতি বসন্তে নানা আয়োজনের মাধ্যমে ‘মাদার অব গড’ রিয়ার উদ্দেশে বিশেষ একটি দিন উদযাপন করা হতো।
তবে ধর্মীয় উৎসব থেকে বেড়িয়ে এসে মা দিবস সামাজিক উৎসবে পরিণত হয় ১৬ শ শতাব্দীতে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে মায়েদের প্রতি সন্মান জানিয়ে ‘মাদারিং সানডে’ নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হতো।
প্রথম দিকে দিবসটি শুধু শহুরে বিত্তবানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু পরে সাধারণ মানুষ বিশেষত কাজের সন্ধানে শহরে ছুটে আসা মানুষের কাছেও পরিচিত হয়ে উঠে মা দিবস। ফলে এ বিশেষ দিবসের আবেদন ছড়িয়ে পড়ে শহর ছেড়ে গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে।
পরবর্তিতে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মা দিবসকে আরো সার্বজনীন করে তুলেছিলেন আমেরিকার নাগরিক জুলিয়া ওয়ার্ড। মা দিবসকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৮৭২ সালে তিনি ব্যাপক লেখালেখি শুরু করেন।
তবে দিবসটিকে একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যের অপর এক নারী। তার নাম অ্যানা জার্ভিস। ১৯০৭ সালে মা দিবসকে স্বীকৃতি দিতে ব্যাপক প্রচারণা চালান তিনি। এ কাজে তাকে ব্যাপকভাবে সহযোগীতা করেন তার বন্ধুরা। ওই বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ছিলো অ্যানার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। অ্যানা সেই দিবসটিতেই ‘মা দিবস’ পালন করেন। পরের বছর পুরো ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যেই বিশাল আয়োজনে পালিত হয় ‘মা দিবস’। সেই সময় থেকেই অ্যানা ও তার সমর্থকরা ‘জাতীয় মা দিবস’ ঘোষণা করার জন্য দেশের মন্ত্রী, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের চিঠি লিখতে শুরু করেন।
অবশেষে ১৯১১ সালে অ্যানা জার্ভিস সফলতা লাভ করেন। সে বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সমগ্র আমেরিকাজুড়ে একই সঙ্গে পালিত হয় ‘মা দিবস’। এর তিন বছর পর ১৯১৪ সালে তৎকালিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। আর তার পর থেকেই ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের দেশে দেশে মা দিবস পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পরে।
বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস পালিত হলেও পৃথিবীর সব দেশে কিন্তু একই দিনে দিবসটি পালন করা হয় না। বছরের বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন দেশে পালন করা হয় মা দিবস।
বাংলাদেশে মা দিবস: আমেরিকাকে অনুসরণ করে গত প্রায় দুই যুগ ধরে বাংলাদেশে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার নানা আয়োজনে মা দিবস পালন করা হয়। বাঙালী সন্তানদের হৃদয়ে বর্তমানে এ দিবসটি যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে শুধু শহুরে সংস্কৃতিই নয় গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে এই দিবসের বার্তা।
বাংলাদেশে এই বিশেষ দিনে মা-কে শুভেচ্ছা জানানো এখন একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। দিবসটিকে সামনে রেখেই শাড়ির দোকান, কার্ডের দোকান, ফুলের দোকানটিতে ভিড় জমাচ্ছে সবাই।
মাকে এই দিবসে শ্রেষ্ঠ উপহারটি দেওয়া নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা। সব বয়সীরাই এই দিনটিতে তার মাকে একটি সুন্দর উপহার কিংবা একটু সঙ্গ দেয়ার জন্য আগে থেকেই নানা পরিকল্পনা করে থাকেন। মাকে ঘিরে চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পূর্বপ্রস্তুতি। খাবারের দোকানগুলো এই বিশেষ দিবসে ভরে ওঠে মা ও সন্তানদের আগমনে।
এ প্রসঙ্গে সেগুনবাগিচার বাসিন্দা জাহানারা সুলতানা বলেন, প্রতি বছরই আমার ছেলেমেয়েরা আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। একই সাথে আমরা সব ভাইবোনও আগের দিন রাত বারোটায় শুভেচ্ছা জানাই আমাদের মাকে। যেখানেই থাকি মা দিবসে আমাদের সন্তানদের নিয়ে আমরা সব ভাই-বোন ছুটে যাই মায়ের কাছে। এ বছর করোনার কারণে মায়ের সঙ্গে দেখা হবে না। তবে ভিডিও কলে অবশ্যই কথা হবে।
তিনি বলেন, মা-ই আমাদের নির্ভরতার একমাত্র স্থান। মায়ের কাছে এখনো শিশু আমরা। বিশেষ কোনো দিন নয়, আসলে প্রতিটি দিনই মায়েদের জন্য।
বিশেষজ্ঞদের মতামত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালমা চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা দেশ সব ক্ষেত্রেই মায়ের অবস্থান দৃঢ়। কারণ সন্তানের অস্থিত্ব মায়ের অস্থিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও মায়ের কথা সন্তানের মনে সব সময়ই থাকে তারপরও এ দিবসটি সন্তানকে বিশেষভাবে মায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। একজন মা-নিজের সুখ-শান্তি-জীবন উৎসর্গ করে সন্তানকে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে চান।
তিনি আরও বলেন, পুরুতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বাবার পাশাপাশি মায়ের অবদানও যে সন্তানের জীবনে অনেক বেশি ও বড় তা স্মরণ করতেই ‘মা দিবস’ পালন করা অবশ্যই প্রয়োজন।
- বেগম রোকেয়াকে কি প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করানো হচ্ছে?
- ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল
- হাসপাতাল ছাড়াই যশোর মেডিকেল কলেজ ১৪ বছর পেরিয়েছে
- সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা
- পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলবে যেদিন থেকে
- অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পাম বন্ডিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প
- লালমনিরহাটে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
- দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে, বাড়ছে শীতের তীব্রতা
- ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে সৌদি, বুশরার দাবি
- অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা চেরি
- খেজুর আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার, কমলো শুল্কও
- চীনে বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান
- যে কারণে দেশের বাজারে বাড়ল স্বর্ণের দাম
- ৯৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির দাম কমলেও আলুর দাম বাড়তি
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- স্নাতক পাসে চাকরি দেবে আড়ং
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২
- যানজটে দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে