ঢাকা, শনিবার ২৮, ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৪:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ইসরায়েলের হামলায় গাজার শেষ হাসপাতালটিও বন্ধ হয়ে গেছে পঞ্চগড়ে পাঁচ দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন আজ দেশের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না ছুটির দিনে সড়কে প্রাণ গেলো ১২ জনের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু সচিবালয়ে সাংবাদিকসহ বেসরকারি সব ‘প্রবেশ পাস’ বাতিল

আজিজ সুপার মার্কেটে পাইকারি বিক্রি কিছুটা ভালো, খুচরায় মন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট ও টি-শার্টসহ শিশু থেকে বৃদ্ধা সব বয়সের মানুষের পোশাকের জন্য বিখ্যাত আজিজ সুপার মার্কেট। এখানে শোরুমগুলোতে পাইকারি ও খুচরা দুটোই বিক্রি হয়। গত দুই বছর করোনার কারণে ঘরবন্দি থাকলেও এবার বিধিনিষেধ ছাড়াই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করে মুসলমানরা।

অন্যদিকে, বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব বৈশাখও এ মাসেই। তবে, ঈদ ও বৈশাখ দুই উৎসবকে ঘিরে যে পরিমাণ বেচা-বিক্রির আশা বিক্রেতারা করেছিলেন তা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আজিজ সুপার মার্কেটের বেশিরভাগ বিক্রেতা।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) আজিজ সুপার মার্কেট এবং এর আশপাশের বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। শোরুমগুলোতে নেই ক্রেতার চাপ। অলস সময় পার করছেন অধিকাংশ দোকানি। তবে, অন্য সময় রাত ৮টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকলেও ঈদের বিক্রির আশায় রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।

আজিজ সুপার মার্কেটে ইজি ফ্যাশনের ব্রাঞ্চ ম্যানাজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এখনো খুচরা বিক্রি শুরু হয়নি আমাদের। মার্কেট তো ফাঁকা। তবে এবার শবে বরাতের আগেই আমাদের পাইকারি বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন আর পাইকারি বিক্রিও নেই।

তিনি জানান, পাইকারি বিক্রি আগের তুলনায় ভালো। আশা করছি, ১৫ রমজানের পর খুচরা বিক্রিও শুরু হবে। সাধারণত এর আগে কিডস আর লেডিস আইটেম বেশি বিক্রি হয়।

বার্ডস আইয়ের ম্যানেজার জুয়েল বলেন, এবার কাস্টমার কম হওয়ার সম্ভাবনা। কারণ আগে এ সময়ে ছাত্ররা শোরুমে কেনাকাটা করলেও এখন তাদের তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সাধরণত এখানে ভিড় করতো বেশি। এবার এখনো তা দেখা যায়নি।

পাঞ্জাবি কিনতে আসা তৌফিক বলেন, আব্বুর জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। আম্মু, ছোট বোনরা কিনে ফেলেছে। তবে এখনো অনেকের কেনাকাটা বাকি আছে। ধীরেই কেনাকাটা করছি।

বিটুইন শোরুমের সেলস ম্যানেজার রায়হান বলেন, জনগণ এখন আর্থিক সংকটে আছে, সেজন্য তেমনটা সাড়া পাচ্ছেন না দোকানদাররা। অন্যান্য বছর এসময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় থাকলেও এবার অনেক কম। এরপরও যারা আসছেন নিজের জন্য না কিনলেও ফ্যামিলির জন্য নিচ্ছেন। অনেকে হয়তো বোনাসের আশায় আছে।

থ্রি-জি শোরুমের ম্যানেজার ফরহাদ জানান, শবে বরাতের আগে থেকেই এবার মোটামুটি পাইকারি বিক্রি শুরু হয়। খুচরা বিক্রি এবার এখনো কম। আশা করছি, কয়েকদিন পর খুচরা বিক্রি বাড়বে।

লেডিস আইটেম ও বৈশাখি জামা-কাপড় পাওয়া যায় ‘বাংলার শোরুমে’। বাংলার শোরুম ম্যানেজার জুয়েল জানান, আমরা নিজেরা পণ্য ম্যানুফ্যাকচার করি, সেজন্য আমাদের সমস্যা বেশি। ভেবেছিলাম এবার আমাদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দেবো। কিন্তু তাও সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার, শনিবারের কিছু ছিল, কিন্তু এরপর আবারও অফ। রোজা শুরুর আগে যেমনটা ছিল এখন আরও বিক্রি কম। এবার অনেক প্রোগ্রাম থাকলেও বিক্রি কম।

বেশিরভাগ বিক্রেতাই আশায় আছেন, এবার ঈদে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু মার্কেটগুলোতে এখনো ক্রেতার উপস্তিতি থাকায় কিছুটা হতাশা তারা। আগামী চার/পাঁচদিনের মধ্যে ঈদের কেনাবেচা জমজমাট হবেও আশা করছেন তারা।