ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার, মেসির ফ্যান: মিম

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমার পছন্দের দল ব্রাজিল। তবে মেসিকেও ভালো লাগে। ফুটবল নিয়ে বলতে গেলে অনেক স্মৃতি রয়েছে। এর মধ্যে ভালো বা খারাপ স্মৃতিও রয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক, প্রিয় দল হেরে গেলে মন খারাপ হবেই। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ স্মৃতি হলো ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ। ওই ম্যাচে ব্রাজিল ৭ গোল খেয়েছিল। আমার মনে হয়, প্রতিটি ব্রাজিল-ভক্তের মন সেদিন ভারাক্রান্ত হয়েছিল। সত্যি বলতে আমি নিজেও সেদিন অনেক কেঁদেছি।

বাসায় আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিলাম। প্রিয় দলের খেলা; বাঁচা-মরার লড়াই! জার্মানির বিপক্ষে সেদিন জিতলেই ফাইনাল। এ কারণে হাতে কোনো কাজ রাখিনি। বলা যেতে পারে প্রস্তুতি নিয়েই খেলা দেখতে বসেছিলাম। আমার বোন ছিল আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। ফলে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। ম্যাচটা ছিল ব্রাজিলের নিজেদের মাটিতে। ভেবেছিলাম ব্রাজিল বেশ ভালোভাবেই জিতবে। ফলে বাজি ধরেছিলাম।

ও (বোন) জার্মানির পক্ষ নিলো। আমি আসলে এই ম্যাচ নিয়ে ‘ওভার কনফিডেন্ট’ ছিলাম। কিন্তু খেলা দেখতে বসে ঘটলো উল্টো ঘটনা! একটার পর একটা গোল খেতে লাগলো ব্রাজিল। আমার বোনের আনন্দ তখন দেখে কে! সে আমাকে ইচ্ছেমতো পচাচ্ছিল। সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।  

তবে এবারের বিশ্বকাপ আমার জন্য বাড়তি আনন্দ নিয়ে এসেছে। কারণ আমার দল ভারি হয়েছে। আমার স্বামীও ব্রাজিলের সাপোর্টার। এবার ওর সঙ্গে খেলা দেখবো। ব্রাজিলের খেলা যখন থাকে চেষ্টা করি সব কাজ রেখে খেলা দেখার। কিন্তু সবসময় তো আর ম্যাচ উপভোগ্য হয় না, মাঝে মাঝে খেলা শেষে মন খারাপও হয়।


আগেই বলেছি, নেইমারের মতো মেসিকেও আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে তার খেলা এবং তাকে দেখতেও ভালো লাগে! এ কারণে আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হলেও মেসির ফ্যান। আরেকটি বিষয় শেয়ার করতে চাই। মাঠে গিয়ে কখনও ফুটবল খেলা হয়নি। তবে এবার মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলেছি; এমনকি গোলও দিয়েছি! আপনারা জানেন ‘দামাল’ সিনেমাটি ফুটবল নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ঘটনার সঙ্গে ফিকশনের আশ্রয় নিয়ে গড়ে উঠেছে সিনেমার গল্প। এই সিনেমার প্রচারণার জন্য একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সেখানে দামাল টিম অংশ নেয়। সেদিন দলের সঙ্গে আমিও ছিলাম।

খেলতে গিয়ে যেমন আনন্দ হচ্ছিল, আবার ভয়ও করছিল। সত্যি বলতে মাঠে অসহায় লাগছিল। সবাই যেভাবে দৌড়াচ্ছিল মনে হচ্ছিল এই বুঝি গায়ের উপর এসে পড়বে! বল কন্ট্রোলে নিতে গেলে হয়তো পড়েই যাব- এসব ভাবছিলাম। আমি অনেকক্ষণ চেষ্টা করেছি বল কন্ট্রোলে নিতে। কিন্তু  কিছুতেই পারছিলাম না। পরে চিন্তা করলাম এভাবে হবে না। যখন ওরা সাইডে যাবে, তখন ওদের কাছ থেকে বল নিতে হবে। এরপর সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। ফাইনালি বল যখন পেলাম- ব্যস হাতে নিয়ে দৌড়। হাত দিয়ে সেদিন গোল দিয়েছিলাম।