ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:০১:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সবজি ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে , চাল-আলুর দাম বাড়তি দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, বন্ধ সব প্রাইমারি স্কুল ৩ মাস পর চালু হলো সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ১৭ বছর পরও সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলবাসী গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকে ক্ষুধার্ত মানুষের হানা ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত

ইফতারিতে থাকুক স্বাস্থ্যকর খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

পুরো রোজার মাস জুড়েই ইফতারিতে থাকে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের আয়োজন। সারাদিন অভুক্ত থাকার পর প্রিয় ও পছন্দের খাবারগুলো ইফতারিতে না থাকলে চলে নাকি! প্রচলিত আলুর চপ, বেগুনি, বড়া ও ছোলা ছাড়া অনেকের তো ইফতারিই হয় না। বহু আগে থেকেই ইফতারিতে এসব খাবার খাওয়ার চল চলে আসছে। যে কারণে বেশির ভাগ বাসায় ইফতারিতে থাকে তেলে ভাজা এই পদগুলো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, খালি পেটে এই খাবারগুলো খাওয়া কতটা নিরাপদ?

স্বাভাবিক অবস্থাতেই তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়ে থাকে। সেখানে একদম খালি পেটে এমন ভাজাপোড়া খাবার শরীরে নেতিবাচক প্রভাবের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে- কী খাওয়া যাবে ইফতারিতে, অথবা কেমন খাবার খাওয়া উচিত ইফতারিতে?

১. ইফতারির টেবিলে খেজুর রাখতে একদম ভোলা যাবে না। প্রতিদিনের ইফতারি শুরু করুন দুটি খেজুর দিয়ে। রোজা রাখার ফলে মাথাব্যথা, মাথাঘোরা ভাব, রক্তে চিনি স্বল্পতা অথবা নিম্নরক্ত চাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তি পাওয়া যাবে এবং ভালো বোধ হবে।

২. পানি পানের কথা বলাই বাহুল্য। তবে একবারে বেশি পরিমাণে পানি পান করা উচিত নয়। পানি পানের সঙ্গে ফলের রস ও শরবত পান করা যেতে পারে। যা শরীরের পানিশূন্যতা দূর করবে।

৩. খেজুর ও পানির পর এবার আসা যাক মূল খাবারের দিকে। ভাজাপোড়া সকল ধরণের খাবারের কথা ভুলে যান। তার পরিবর্তে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিতে ভরপুর স্যুপ। সেটা হতে পারে চিকেন কিংবা ভেজিটেবল স্যুপ। ইফতারিতে এক বাটি গরম স্যুপ শুধু শরীরকে চাঙ্গাই করবে না, সারাদিনের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করবে।

৪. এবার খেতে পারেন সালাদ। কারণ সালাদে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস ও ফাইবার। একটা ব্যাপার এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে- সালাদ যত বেশি রঙিন হবে, পুষ্টির মাত্রা তত বেশি হবে। এই সালাদ হতে পারে কয়েক ধরণের ফলের অথবা সবজির। তবে সালাদ খুব বেশি পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

৫. ব্যালেন্স ডায়েট রক্ষা করার জন্য কিছু পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাবার অবশ্যই খেতে হবে। সেটা হতে পারে ভাত, রুটি, পাস্তা কিংবা আলুর কোন পদ। ভাত কিংবা রুটি খেতে পারেন মুরগির মাংস, মাছের ঝোল, ডাল, সবজি রান্না দিয়ে।

৬. একদম শেষে খেতে পারেন পছন্দসই মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার। হাতে বানানো মিষ্টি, মিষ্টি দই, জিলাপি, কেক, পিঠা, ফালুদা, শাহী টুকরা প্রভৃতি। মিষ্টি জাতীয় এই সকল খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও চিনি। সারাদিন অভুক্ত থাকার ফলে শরীরে কিছুটা বাড়তি শক্তির প্রয়োজন হয়। যা পূরণে সাহায্য করবে মিষ্টি খাবার।

ইফতারিতে যথেচ্ছা খাবার খাওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা দুর্লভ নয়। সংযত ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের মাধ্যমেই পুরো রমজান মাস জুড়ে সুস্থ থাকা সম্ভব। তাই প্রতিদিনের ইফতারির আয়োজন হোক পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাজাপোড়া খাবার বিহীন।