ঢাকা, বুধবার ২৬, মার্চ ২০২৫ ১০:৪২:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ছায়ানট সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন আর নেই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধ*র্ষ*ণ ও হ*ত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড সাত বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেন, স্বস্তিতে যাত্রীরা গুজব-ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না: সেনাপ্রধান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগোতে চায় সরকার আগামী শুক্র ও শনিবার যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা আজ ভয়াল ২৫ মার্চ

ঈদ কেনাকাটা: মধ্য ও নিম্নবিত্তদের ভরসা ফুটপাতের দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২৫ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রমজান প্রায় শেষ প্রান্তে। দুয়ায়ে কড়া নাড়ছে ঈদ। এরই মধ্যে পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন পোশাক ও উপহার কিনতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন সবাই। অনেকেই রোজার শুরুর দিকে ঈদের কেনাকাটা করতে পারেননি। অপেক্ষায় ছিলেন বেতন-বোনাসের। সেই অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয়েছে। রাজধানীর শপিংমল, ফুটপাতের দোকানে চোখ রাখলে তা টের পাওয়া যায়।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে মধ্য ও নিম্নবিত্তদের শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটা এক ধরনের বিলাসিতা। তাইতো তারা ছুটছেন গলির ছোট ছোট দোকান, ফুটপাত ও ভাসমান ভ্যান দোকানে। শপিংমলে থাকা পণ্যের দাম অনেকেরই নাগালের বাইরে। আবার একসঙ্গে পরিবারের সবার জন্য উপহার কিনতে গেলে অনেকেই বিপাকে পরেন। তাদের সমস্যার সমাধান মিলে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।


রাজধানীর শপিংমল ও বিপণি-বিতানগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেচাকেনা চলছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। প্রতিনিয়তই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। বিক্রেতাদের আশা, ঈদের আগে শেষ কয়েকদিন বেচাকেনা আরও বাড়বে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ দেখা গেলেও নিম্ন বা সীমিত আয়ের মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এসব দোকানে তুলনামূলক কম দামে পছন্দের পণ্য কেনা যায়। এছাড়া এই দোকানগুলোতে ক্রেতারা ইচ্ছেমতো দরদাম করে পণ্য কিনতে পারেন।


রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, উত্তরা, মিরপুর, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, বাটা সিগন্যাল, কাঁঠালবাগান, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


শপিংমল ও দোকানের থেকে তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় ফুটপাতের দোকানগুলোর ওপর বেশি নির্ভর থাকেন নিম্নআয়ের মানুষরা। এসব দোকানে সব বয়সের নারী-পুরুষের উপযুক্ত পোশাক পাওয়া যায়। শিশুদের পোশাকেরও রয়েছে বাহারি সব কালেকশন। রমজানের শুরু থেকে দুপুর গড়ানোর পরই এসব দোকানে ক্রেতার ভিড় বাড়ে। রাত ৮টা-৯টা পর্যন্ত বেচাবিক্রি চলে হরদম। তবে শেষ দিকে এসে ভিড়ের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে ক্রেতাদের ঈদের পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল, প্রসাধনী এবং গহনা কিনতে দেখা গেছে। রাজধানীর প্রায় সব এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। দোকানে ক্রেতাদের চাপে হাঁটাচলা করাই যেন কঠিন।

মিরপুর-১০ নম্বরে কথা হয় মেয়ের জন্য জামা-জুতা কিনতে আসা পোশাক শ্রমিক জাফারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আদরের মেয়ে আমার। আবদার করেছে জামার সঙ্গে মিলিয়ে জুতা কিনে দিতে। শপিংমলে গিয়ে কেনার সামর্থ্য নেই। এখানে কমদামে পাওয়া যায়। তাই কাজ শেষে এখানে চলে এসেছি। অনেক ভিড়। পছন্দের জিনিসের জন্য অনেক খোঁজতে হচ্ছে।

এই বাজারগুলোতে শূন্য থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব পোশাক পাওয়া যায়। তাইতো সবাই ছুটছেন এসব দোকানে। তবে অনেকেই এসেছেন ফুটপাতের বাজারে কেনাবেচা দেখতে এসেছেন। না কিনলেও তারা চারপাশে ঘুরে পণ্য দেখছেন।

গুলিস্তানের ফুটপাতে ছোট স্টল এবং ভ্যানে পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট, জুতা এবং বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাছাকাছি বাজারগুলোতে পাঞ্জাবি-পায়জামার পাইকারি ও খুচরা বিক্রি দেখা গেছে।

প্রতিটি প্যান্ট ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং শার্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চাদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স, প্যান্ট এবং জুতা ৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

বিগত কয়েকবছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা করে খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। কিছু বিক্রেতার কথা বলে জানা যায়, এবার রমজানের শুরু থেকেই বেচাকেনা হচ্ছে। তবে এখন বেচাকেনা বেড়েছে। শেষ সময়ে সবাই পছন্দের পণ্য কিনতে ভিড় করছেন।