ঢাকা, বুধবার ০২, এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪৮:২৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ১২ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায় লাখো পর্যটকের উল্লাসে মেতে উঠেছে কক্সবাজার সৈকত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানী ছাড়ছে মানুষ, ফিরছে অনেকে ১২ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায় চট্টগ্রামে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১০ জনের প্রাণহানী

ঈদের দিন সুস্থ থাকতে কোন বেলায় কী খাবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৭ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৫ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সুস্থভাবে বাঁচতে দরকার সঠিক জীবনযাত্রা। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মমাফিক ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়ামসহ প্রয়োজনীয় আরও বেশ কিছু বিষয়। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম দ্রুত শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। পুষ্টি চাহিদার কথা চিন্তা না করেই যখন খাওয়া হয় তখন তাকে অনিয়ম বলা হয়। 

ঈদের দিন বেশিরভাগ মানুষই খাবারের অনিয়ম করেন। দীর্ঘ এক মাস এক নিয়মে খাওয়ার পর হঠাৎ করেই বেশি খাওয়ার ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। জেনে নিন ঈদের দিন কখন কী খাবেন- 


ঈদ দিন সকালের নাশতায় যা খাবেন 

আগের দিন পর্যন্ত রোজা রেখে ঈদের সকালে একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। এসময় পরিমিত আহারই শ্রেয়। সকালে মিষ্টি খাবার দিয়ে ঈদ শুরু করার রেওয়াজ বহু দিনের। সেমাই বা পায়েস যা খান তা যেন পরিমিত হয় খেয়াল রাখবেন। 

এর পাশাপাশি ঈদের সকালের নাশতায় রাখতে পারেন রুটি বা হালকা তেলে ভাজা পরোটা কিংবা সবজির নরম খিচুড়ি। মুরগির তরকারি বা ডিম ভুনা রাখা যায়। সবজি আইটেম রাখবেন অবশ্যই। সবচেয়ে ভালো হয় আগে এগুলো খেয়ে তারপর মিষ্টি খাবার খেলে। 


সকাল ও দুপুরের মধ্যবর্তী সময়ে

অনেকেই ঈদের দিনে সকাল ও দুপুরের মাঝের সময়টাতে হালকা কিছু খেতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে ফুচকা বা চটপটি খেতে পারেন। যেহেতু প্রচণ্ড গরম পড়ছে তাই এই সময়ের পুষ্টিকর খাবার হলো তাজা ফলের জুস বা ফলের সালাদ। বেলের শরবত, ডাবের পানি, তরমুজের শরবত খেতে পারেন। তাতে শরীরে পানিস্বল্পতা তৈরি হবে না।

দুপুরের খাবার

ঈদের দিনে দুপুরের খাবারে খুব হালকা তেলের পোলাও বা ভুনা খিচুড়ি রাখুন। ডিপ ফ্রাই খাবার এসময় এড়িয়ে চলা উচিত। এতে হজমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। পাতে রাখতে পারেন অল্প তেলে তৈরি কাবাব বা গ্রিল করা মুরগি। ঈদের দিন অনেক বাসাতেই মুরগির রোস্ট করা হয়। তবে এক মাস রোজা রাখার পর এমন খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই রোস্টের বদলে কম তেলে রান্না মুরগির কোরমা রাখুন। 

বর্তমানে রান্নার জন্য খুবই উপযোগী একটি মাধ্যম এয়ার ফ্রায়ার। ডুবো তেলে না ভেজে এতে মজাদার খাবার তৈরি করে নিতে পারে। এত স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। চাইলে দুপুরের জন্য কম মসলার চায়নিজ সবজি রান্না করতে পারেন। কিংবা রান্না করতে পারেন সবজির কোরমা। কোমল পানীয়ের বদলে বোরহানি বা মাঠা শ্রেয়। পাতে রাখতে পারেন টক দই।

রাতের খাবারে যা রাখবেন

ঈদের দুপুরে যেহেতু একটু ভারী খাবার খাওয়া হয়, তাই রাতে সহজে হজম হয়, এমন খাবার খেতে চেষ্টা করুন। রাতে মাছ হতে পারে আদর্শ খাবার। মাছের ফিলে সয়া সস, লেবুর রস ও গোলমরিচ দিয়ে মেরিনেট করে রান্না করলে গতানুগতিক রান্না থেকে ভিন্ন হবে। ভুনা বা কষানো মাংস না খেয়ে স্টু করে খাওয়া উচিত।

স্টু করার পদ্ধতিটি একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। এর জন্য প্রথমে গোলমরিচ, লেবুর রস ও লবণ দিয়ে মাংস পানিতে সেদ্ধ করতে হবে। এবার কিছু সবজি হালকা তেলে ভেজে সেদ্ধ মাংসে ছেড়ে বিট লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে দিতে হয়। এটা অনেকটা স্যুপজাতীয় খাবার, যা রাতের জন্য খুবই স্বাস্থ্যসম্মত ও উপাদেয়। এছাড়া খেতে পারেন বেক করা সল্ট রোস্টেড চিকেন। 

ঈদের দিন খাবার খান বুঝেশুনে। যেন শরীরে ওপর খারাপ প্রভাব না পড়ে।