ঢাকা, রবিবার ০৮, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭:৩৪:০২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন কুমিল্লায় বন্যায় ১১০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি যে কারণে বাড়ছে চালের দাম গাজায় টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা:নিহত ২৭ শুল্ক কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, ৩ জনের প্রাণহানী

এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল ৩০ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ৯ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির খড়্গ সাধারণ মানুষের ঘাড় থেকে কিছুতেই নামছে না। ৬০-৮০ টাকার কাঁচামরিচ এখন ২৮০-৩০০ টাকা। নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে পেঁয়াজ নিয়ে। ১ কেজি পেঁয়াজ এখন ১২০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৯০ টাকা।

৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর নিউমার্কেট, আজিমপুর, পলাশী ও চাঁনখারপুল এলাকার বিভিন্ন খুচরা দোকান ঘুরে পেঁয়াজের বাড়তি দামের সত্যতা পাওয়া গেছে। এলাকাভেদে এসব দোকানে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে নতুন দেশি পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগে যার বিক্রয়মূল্য ছিল সর্বনিম্ন ৯০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। একই পেঁয়াজ ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকায়। আর ১ বছর আগে এই সময়ে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা দরে। সেই হিসাব অনুযায়ী ১ বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের চেয়েও বেশি।

এদিকে  টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, আমদানি করা পেঁয়াজও এখন খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগে এর বিক্রয়মূল্য ছিল সর্বনিম্ন ৯৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৮৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকায়। আর ১ বছর আগে এই সময়ে খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে।

এই হিসাব অনুযায়ী ১ বছরে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশের চেয়েও বেশি।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

সাম্প্রতিক সময়ে খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। যার ফলে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে। এটি দাম বাড়ার কারণ হতে পারে।

নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরিবহন সমস্যা, সরবরাহ চেইনের অব্যবস্থা এবং পণ্য মজুতের অভাবকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এখন চাহিদার তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। সে কারণেই দাম বেড়েছে। এবার আরও দাম বাড়বে। বন্যা ও পানির কারণে সার্বিকভাবে পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে। এখন উত্তরাঞ্চলে বন্যা বিরাজ করছে। যার কারণে পণ্য সরবরাহ কম। আর আড়তেই দাম বেশি, আমাদের তো কিছুই করার নেই। তবে সহসা দাম কমবে না বলে মনে হচ্ছে।

আফজাল হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি এবং ভারতীয় দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছে। এই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ৩০-৪০ টাকার মতো বেড়েছে। আমরা কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দামে পেঁয়াজ কিনে আনি। তারা আমাদের যেমন দামে বিক্রি করতে বলে আমরা তেমন দামেই বিক্রি করি।


তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার যে পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৮৫ টাকা কেজি তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা খুচরা বাজারে তা বিক্রি করছেন ১১০ টাকা কেজি।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম এবং দামও বেশি। এছাড়া, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। যার কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।