ঢাকা, শনিবার ২৮, ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৮:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ইসরায়েলের হামলায় গাজার শেষ হাসপাতালটিও বন্ধ হয়ে গেছে পঞ্চগড়ে পাঁচ দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন আজ দেশের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না ছুটির দিনে সড়কে প্রাণ গেলো ১২ জনের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু সচিবালয়ে সাংবাদিকসহ বেসরকারি সব ‘প্রবেশ পাস’ বাতিল

এখন দর্জির দোকানে ব্যস্ততা ভীষণ

আসমা আলমগীর | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪২ পিএম, ২৩ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ঘটঘট শব্দে অবিরাম চলছে সেলাই মেশিন। বিরতিহীনভাবে চলছে সেলাইয়ের কাজ। ঈদের আর বেশি দিন বাকী নেই। রাজধানীর দর্জির দোকানের কারিগররা এখন ভীষণ ব্যস্ত। ব্যস্ত কাটিং মাস্টারও। দোকানে দোকানে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কাপড় তৈরির কাজ। চলছে পোশাকের মাপ নেয়া, কাপড় কাটা আর সেলাই।

দর্জিরা জানান, রোজার শুরু থেকেই কারিগররা রাত জেগে কাপড় সেলাই করছে। এই ব্যস্ততা তাদের চলবে ঈদের চাঁদ রাত পর্যন্ত।  

পছন্দমতো পোশাক তৈরি করে নিতে অনেকেই ছুটছেন দোকানে দোকানে। দর্জিরা বলছেন, শবেবরাতের পর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের আনোগোনা। তবে পনেরো রোজার পর থেকে অধিকাংশ দোকানেই নতুন কোনো অর্ডার নেয়া হচ্ছে না।

জানা গেছে, ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে পোশাকের মজুরি রাখা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সুযোগ পেয়ে টেইলারের দোকানগুলো মজুরি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।  

জানা গেছে, এবছর থ্রি-পিস তৈরির মজুরি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত। লং ফ্রক স্টাইলের পোশাক তৈরিতে খরচ পড়বে ৮শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত। তবে ডিজাইনের ওপর মজুরির হেরফের হয়। সিল্ক, জর্জেট, কাতান ও বেনারসি কাপড়ের মজুরি এ বছর অনেক বেশি। এসব কাপড়ের এক সেট থ্রিপিস বানাতে মজুরি লাগছে (দর্জি দোকানের প্রকারভেদে) ৩৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। শিশুদের জামা সেলাই ৩০০ থেকে হাজার টাকা। সালোয়ার কামিজের মজুরি ৩৫০-১২০০ টাকা, প্যান্টের মজুরি ৩০০-১০০০ টাকা। পাঞ্জাবি ও শার্টের মজুরি ২৫০-১০০০ টাকা।  

কাটিং মাস্টার আমজাদ হোসেন বলেন, সব কিছুর যেমন দাম বেড়েছে; তেমনি কারিগরদের মজুরিও বেড়েছে। আগে এক সেট সালোয়ার কামিজ সেলাই করতে হয়তো ২শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা লাগতো। এখন লাগছে সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত।

টেইলারের দোকানীরা জানান, ক্রেতারা আগের মত এখন আর ক্যাটালগ দেখে জামা বানায়না। বরং তারা নিজেরাই ইন্টারনেট থেকে পছন্দের ডিজাইন অনুসারে অর্ডার দেয়। ওই হিসেবে তারা জামা তৈরি করে দেন। স্বাভাবিকভাবেই কাজ বেশি থাকে। তাই মজুরিও বেশি নিতে হয়।