ঢাকা, সোমবার ১০, মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৫:৫২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ঈদে চলবে ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে শুনানি, চার আসামি রিমান্ডে ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল, স্লোগানে উত্তাল চবি রাজধানীতে গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ২ নারীর, সড়ক অবরোধ ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে হটলাইন

ওমিক্রনের উপধরন থেকে সুরক্ষায় করণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ২ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এ বিপর্যস্ত চীন। এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ ৯২টি দেশে অতিসংক্রামক এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ ও নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে। এ ছাড়া করণীয় নির্ধারণে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বৈঠক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়।

সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনার অনেকগুলো ধরন পাওয়া গেছে। করোনা ক্রমাগত জেনেটিক মিউটেশন করার ফলে অনেকগুলো ধরন ও উপধরন তৈরি করেছে। বিএফ-৭, ওমিক্রন বিএ.৫ ধরনের একটি উপধরন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রন উপধরনগুলোর মধ্যে বিএফ-৭-এর সবচেয়ে শক্তিশালী সংক্রমণক্ষমতা রয়েছে (একজন সংক্রামিত ব্যক্তি গড়ে ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে)। কম ইনকিউবেশন পিরিয়ড (ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা এবং প্রথম লক্ষণগুলোর উপস্থিতির মধ্যবর্তী সময়) এবং যাদের পূর্বে কোভিড সংক্রমণ হয়েছে বা যারা পূর্বেই কোভিডের টিকা পেয়েছে বা উভয়কেই সংক্রামিত করার ক্ষমতা অন্য ধরনের থেকে বেশি।

উপসর্গবিহীন বাহকের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া বিএফ-৭ দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন রোগী, বয়স্ক, করোনা সম্মুখযোদ্ধা এবং জটিল রোগে আক্রান্ত (ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইত্যাদি) রোগীদের জন্য আরও গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

এ অবস্থায় ওমিক্রনের উপধরন বিএফ.৭-এর সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন, ভারতসহ যেসব দেশের সন্দেহভাজন যাত্রী বাংলাদেশে আসবে তাদের নিজ ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।


বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, জ্বর, সর্দি বা কাশি নিয়ে যারা দেশে আসছেন তারা আগের মতো প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে বিমানবন্দরে করোনা সংক্রমণ লুকানোর চেষ্টা করবেন। এটা হলে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এবার বিদেশ থেকে আসাদের সংক্রমণ লুকানো কঠিন হবে।

বিএফ.৭ রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

সম্প্রতি এক নির্দেশনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন ধরনের কোভিড-১৯ (বিএফ.৭) ভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হবে এবং নিম্নলিখিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিসহ প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য কোভিড-১৯ এর সব ডোজ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ) টিকা নেওয়া জরুরি।
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও জটিল রোগে আক্রান্তসহ সবাইকে কোভিড-১৯ এর সব স্বাস্থ্যবিধি (যেমন- নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা, ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা ও হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি) মেনে চলতে হবে। এছাড়া হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়, বিয়ে, জন্মদিনসহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশসহ সব জনসমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে সন্দেহভাজন যাত্রীদের কোভিড-১৯ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলে হাসপাতালে আইসোলেশনে নিতে হবে।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আগমনের ১৪ দিনের মধ্যে করোনার উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি) দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষা করতে হবে এবং আইসোলেশনে থাকতে হবে।