ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫০:৩২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বাহাত্তরেও সুরের জাদু ছড়াচ্ছেন রুনা লায়লা ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট লাফিয়ে বাড়া স্বর্ণের দামে হঠাৎ পতন, জানা গেল কারণ বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৬ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ দগ্ধ ৪ মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কচুর শাক: জেনে নিন রান্নার পদ্ধতি ও উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:২১ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

কচুর শাক

কচুর শাক

কচুর শাক আমাদের দেশের একটা জনপ্রিয় শাক, শোনা যায় এই শাকের উপকারিতা অনেক বেশি। আমাদের অনেকেই এই শাক ছোটবেলা থেকেই খেয়ে আসছি। 

কচুর শাক অনেক প্রকারে রান্না করা যায়, বিশেষ করে ইলিশ মাছের মাথা ভেঙ্গে সিমের বিচি দিয়ে বা শক্ত কোন ডাল দিয়ে এই শাকের রান্না সব সময়েই সুস্বাদু খাবার হয়ে থাকে। 

গ্রামে যে কোন জায়গায় এই শাক দেখা যায়, শুধু তুলে নিলেই হল। তবে কচুর নানা প্রকার ভেদ আছে, শাক হিসাবে রান্নার জন্য একটু ভাল জাতের নিতে হবে।

অনেকে বলেন কচুর শাক খেলে গলা ধরে, প্রথমেই সামান্য সিদ্ধ বা ভাপিয়ে নিলে এই সমস্যা কিছুতেই থাকবে না। এ ছাড়া রান্নায় সময় কিছু লেবুর রস দিলে এই সমস্যা আর থাকবেই না।

উপকরনঃ 
– কচুর শাক, কম বেশি ৪০০/৪৫০ গ্রাম (ভাপিয়ে নেয়ার পর)
– মাঝারি তিনটে পেঁয়াজ কুঁচি (পেঁয়াজ একটু বেশি হলে স্বাদ বাড়বে)
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
– এক টেবিল চামচ দেশী রসুন বাটা বা কুঁচি বা কয়েকটা কোষ থেতানো
– হাফ চা চামচের কম হলুদ গুড়া,
– হাফ চা চামচ চিনি,
– হাফ চা চামচ লেবুর রস,
– হাফ চা চামচ জিরা গুড়া (জিরা কড়াইতে ভেঁজে বেটে গুড়া করে নেয়া হয়েছে এবংরান্নার শেষে এটা দেয়া হয়েছে, এটা না দিলেও চলে তবে যারা আরো ভাল ঘ্রান পেতে চান দিতে পারেন)
– তেল (পরিমান মত, কম তেলেই রান্না উত্তম)
– পানি (ভাপানোর জন্য পরিমান মত)
– লবন (পরিমান মত, প্রথমে কম, পরে যাছাই করে দিতে হবে)

প্রনালীঃ

কচুর শাক কেটে গা গা পানি দিয়ে ভাপিয়ে নিয়ে পরে পানি ঝরিয়ে নিন। এভাবে পানি ঝরিয়ে ফ্রীজে রেখেও বের করে সময়ে সময়ে রান্না করা যেতে পারে।

এবার কচুর শাকগুলোকে আধা মিহি করে বেঁটে নিন এবং তুলে রাখুন।

কড়াইতে তেল গরম করে হাফ চা চামচ লবন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ (ফালি করে হলে ভাল) দিয়ে ভাল করে ভাঁজতে থাকুন। যেহেতু লাল মরিচ গুড়া দেয়া হবে না, তাই কাঁচা মরিচ একটু বেশি দেয়া হয়েছে, তবে মরিচের ঝাল বুঝে দেয়াই উত্তম।

পেঁয়াজ কুঁচি সোনালী হয়ে আসলে তাতে হাফ চা চামচের কম হলুদ গুড়া দিন এবং ভাল করে ভেঁজে নিন।

এবার বেঁটে রাখা কচু দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে ভাঁজুন।

আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে, নাড়াতে থাকুন। কড়াইয়ের তলায় যেন না লেগে যায় সে দিকে লক্ষ রাখুন। এই ভাঁজাতে তাই চওড়া খুন্তি বযবহার করা দরকার।

এবার চিনি দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুন কম থাকবে, এবার লেবুর রস দিন।

ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন, লাগলে দিন। মাখা মাখা হয়ে গেলে পরিবেশন করতে পারেন। তবে যারা আরো একটু বেশি স্বাদ চান তারা নিন্মে আসুন।

হাফ চা চামচ জিরা গুড়া (জিরা তাওয়ায় ভেঁজে বেঁটে গুড়া করে নিতে হবে) দিয়ে দিন।

ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই জিরা গুড়ার জন্য স্বাদ ও ঘ্রান ভিন্ন হয়ে যাবে এবং খাবারে একটা আলাদা আনন্দ নিয়ে আসবে। যারা ভোজনরসিক তারা আরো আনন্দ পাবেন। ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। গরম ভাতের সাথে তুলনাহীন!