ঢাকা, শনিবার ২৩, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৮:১০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১৪ জুন ২০২৪ শুক্রবার

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের জন্মদিন আজ। এই প্রখ্যাত নারী ঔপন্যাসিক ১৯৪৭ সালের আজকের এ দিনে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন।

নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের লেখালেখির শুরু ষাটের দশকের মধ্যভাগে, রাজশাহী মহিলা কলেজে পড়ার সময়। সে সময়ের লেখা নিয়ে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘উৎস থেকে নিরন্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তার দুটি গ্রন্থ ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ ও ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ নিয়ে চলচ্চিত্র এবং কয়েকটি গল্প নিয়ে নাটক নির্মিত হয়েছে।

তার পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে। বাবার নাম একে মোশাররফ হোসেন এবং মায়ের নাম মরিয়মন্নেসা বকুল। সাত ভাইবোনের মধ্যে সেলিনা হোসেন চতুর্থ।

তিনি একাধারে উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ রচনা করছেন। শিশু সাহিত্য এবং গবেষণায়ও রেখেছেন অনন্য স্বাক্ষর। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ও গল্পে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণি যেমন উঠে এসেছে, তেমনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সুখ-দুঃখের উপাখ্যান হয়ে উঠেছে তার লেখনিতে।

তার দুটি গ্রন্থ  ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ এবং ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ দিয়ে চলচ্চিত্র এবং কয়েকটি গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শিকাগোর ওকটন কলেজের সাহিত্য বিভাগে দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্য কোর্সে তার ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’  উপন্যাসটি পাঠ্যসূচিভুক্ত হয়।

কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের ভুবনে প্রবেশ করলেও ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি বেছে নেন কথাসাহিত্যকে। মূলত ছাত্রজীবনের বামপন্থি রাজনীতি সেলিনা হোসেনের লেখালেখির ধারা নির্মাণ করে দেয়। জীবন ও বাস্তবতার আলেখ্য হিসেবে তার লেখাগুলো পাঠকের হৃদয়ে আলাদাভাবে স্থান করে নিয়েছে। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় সেলিনা হোসেনের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘উৎস থেকে নিরন্তর’। তার প্রথম উপন্যাস ‘জলোচ্ছ্বাস  প্রকাশিত হয় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে। তার ‘নীল ময়ূরের যৌবন’ বাংলা ভাষার নিদর্শন চর্যাপদ ও চর্যাকারদের নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস।

সেলিনা হোসেনের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, কানাড়ি, রুশ, মালে, মালয়ালম, ফরাসি, জাপানি, ফিনিশ, কোরিয়ান প্রভৃতি ভাষায় সেলিনা হোসেনের বেশ কয়েকটি গল্প অনূদিত হয়েছে। 

সেলিনা হোসেনের কর্মজীবন শুরু বাংলা একাডেমিতে; গবেষণা সহকারী হিসেবে। ২০ বছরের বেশি সময় তিনি ‘ধানশালিকের দেশ’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমির প্রথম নারী পরিচালক হন। তিনি শিশু একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান।

সেলিনা হোসেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০১০ খিষ্টাব্দে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা।