ঢাকা, মঙ্গলবার ০৩, ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:১০:৫৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সেই তরুণী, বিয়ের চাপ দেওয়ায় খুন করেন প্রেমিক শীতের দাপটে কাঁপছে পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন আজ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ভারতে হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ

কবিতায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শামীম আজাদ

অনু সরকার | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৯ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার

কবি শামীম আজাদ।

কবি শামীম আজাদ।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ পেয়েছেন কবি শামীম আজাদ। কবিতা ক্যাটাগরিতে এই সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. হাসান কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

শামীম আজাদ কবিতা লিখছেন কলেজ জীবন থেকেই। তবে বাংলাদেশে তার প্রথম ব্যাপক পরিচিতি ঘটে ১৯৭০ এর দশকের নামী বাংলা সাপ্তাহিক সাময়িকী বিচিত্রার সাংবাদিক হিসেবে।

তখনকার দিনে ঢাকায় খুব কম মেয়েই সাংবাদিকতায় আসতেন, বা রিপোর্টিং করতেন।

বিচিত্রার প্রতিবেদক হিসেবে শামীম আজাদ সে সময়কার অনেক আলোচিত বিষয় নিয়ে রিপোটিং করেছেন, অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।

শামীম আজাদ ব্রিটেনে চলে যান শিক্ষকতা পেশার সূত্রে ১৯৯০-এর দশকে। তার আগে তিনি ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

ব্রিটেনে তিনি শিশুদের জন্য একাধিক স্কুলপাঠ্য বই লিখেছেন, পাশাপাশি জড়িত রয়েছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম বিলেতে চালু রাখার কাজে। 

কবি শামীম আজাদ ১৯৯১ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন। তার কবিতায় বাংলাদেশের প্রকৃতির ভাষিক রূপ ফুটে ওঠেছে। দীর্ঘ সময়ে ব্রিটেনের কমিউনিটিতে বিভিন্ন অবদানের জন্য তিনি সুপরিচিত মুখ। তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে লন্ডন এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশি পোয়েট্রি কালেকটিভের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার। এ ছাড়া পূর্ব লন্ডনের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার বৃহৎ প্রতিষ্ঠান রিচমিক্সের ট্রাস্টি এবং লন্ডনের এক্সাইল রাইটার্স ইঙ্কের নির্বাহী কমিটির সদস্য তিনি। 

এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মারক বিজয়ফুল কর্মসূচির প্রতিষ্ঠাতা তিনি, যা আজ পুরো বিশ্বে ডিসেম্বরে পালিত হয়।

শামীম আজাদ ১৯৫২ সালের ১১ নভেম্বর ময়মনসিংহে (যে শহর ছিল তার বাবার কর্মস্থল) জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস সিলেটে। ১৯৬৭ সালে জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। এরপর ১৯৬৯ সালে কুমুদিনী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭২ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৭৩ সালে অর্জন করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।