ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৮:৪৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সোনামসজিদ দিয়ে এলো সাড়ে ৫ হাজার টন আলু-পেঁয়াজ ৮ দফা অস্ত্রোপচারের পর ঘরে ফিরেছে জোড়া শিশু নুহা-নাভা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা শুরু হবে ওমরাহ পালনের পর তীব্র শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে

কাঁচা মরিচের আড়তে মধ্যরাতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ৬ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রে বসে আছে কাঁচা মরিচ। কাঁচামরিচের দামের ঝাঁজ যেন কমছেই না। আমদানির পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কাঁচামরিচের বাজার।

ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসার পরদিন দাম কমে অর্ধেকে নেমেছিল। কিন্তু এ দর স্থায়ী হয়নি। পরদিনই আবার কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে।

এমন অবস্থায় কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধ্যরাতে রাজধানীর পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারের কাঁচা মরিচের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার রাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ঢাকা জেলা) আব্দুল জব্বার মণ্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক (প্রধান কার্যালয়) মো. শরিফুল ইসলাম ও সোহেল চাকমা।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, প্রথম দোকানে চালান না থাকায় তাদেরকে সতর্ক করা হয়। আগামী বুধবার ভোক্তা অধিদপ্তরে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি মিটিং করার কথা রয়েছে, সেখানে আসতে বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় দোকানিকেও সতর্ক করা হয়। অভিযানিক দল বাজারে মোট তিনটি দোকান ঘুরতে পারে। কেননা অভিযানের খবরে ব্যবসায়ীরা আর মরিচ বাজারে আনেননি। অভিযানিক দল দোকানগুলো ঘুরে দেখতে পায়, একই মরিচ একজন ৩০০ টাকা, অন্যজন ৩২০ টাকা এবং আরেকজন ৩৫০ টাকা দাম হাঁকছেন। কিন্তু কারও কাছেই দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই, পুরো ব্যবসাটাই চলছে মৌখিকভাবে। অভিযান করার মতো আর কোনো দোকান না থাকায় পরে অভিযান সমাপ্ত করা হয়।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, অতি বৃষ্টি ও খরার কারণে এবার দেশে কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে, ভারত থেকেও পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে না। আমদানি করা কাঁচামরিচের দর পড়ছে ৩০০ টাকার বেশি।

এর বাইরেও আমাদের পরিবহন খরচ, এখানের ভাড়া সব মিলে আমাদের কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হবে। শুধু অভিযান চালালেই হবে না, সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।

এ ছাড়া পচনশীল পণ্য হওয়ার কারণে পথিমধ্যে কিছু নষ্ট হয়ে যায়। এর পাশাপাশি পরিবহনসহ রাস্তায় নানা খরচ আছে। এসব কারণে কাঁচামরিচের দাম বাড়ছে।

অভিযান শেষে আব্দুল জব্বার মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আজকে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মরিচগুলো কোথা থেকে আসছে, কেমন দামে আসছে এবং সেগুলো এখানে এসে কত দামে বিক্রি হচ্ছে ও এই প্রক্রিয়ার মাঝে কোনো কারসাজি আছে কি না সেটি দেখা। আজকে দেখলাম, এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন অফিসে জমা দেয়া হবে।