ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ০:০৪:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

কাঁথা সেলাই করেও এসএসসিতে ‘এ প্লাস’ পেলেন সুমাইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বাড়িতে ছিল না পড়ার জায়গা। চাচার প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারে বসে প্রায় সময় পড়ালেখা করতেন তিনি। দর্জি কাজ, কাঁথা সেলাই ও প্রাইভেট পড়িয়ে এবার এসএসসিতে ‘এ প্লাস’ পেয়েছেন সুমাইয়া আক্তার। পড়ালেখা করে তিনি হতে চান একজন শিক্ষক।

সুমাইয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। এবার উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখা থেকে ‘এ প্লাস’ পেয়েছেন তিনি।

জানা যায়, সুমাইয়ার বাবা পেশায় অটোরিকশা চালক আর মা পারভীন আক্তার গৃহিনী পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে সংসার চালান। সুমাইয়াও মায়ের সঙ্গে কাঁথা সেলাই করতেন। পাশপাশি দর্জি কাজ ও প্রাইভেট পড়াতেন। চাচা স্বপন মিয়ার প্রতিষ্ঠিত ‘গুঞ্জন’ পাঠাগারে বসে লেখাপড়া করতেন তিনি।

সুমাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া বলেন, সুমাইয়াকে কখনই চাপ দেইনি যে ‘এ প্লাস’ পেতে হবে। তাকে বলতাম সার্টিফিকেটের ‘এ প্লাস’ না পেয়ে তোমার নিজের মধ্যে ‘এ প্লাস’এর যোগ্যতা অর্জন করো। সে সেভাবেই লেখাপড়া করেছে। সে প্রচুর পরিশ্রম করত, কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লেখাপড়া করতো। 

তিনি আরো বলেন, পাঠাগারের সাধারণত রাতে ছেলেরা আসতো, সে মেয়ে হয়েও নিজের মতো করে নিরবে বসে পড়ালেখা করতো। তার মধ্যে কোনো দ্বিধা থাকত না, সে নিজের মতো করেই পড়ার পরিবেশটা তৈরি করে নিতো। আমাদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ ‘এ প্লাস’ পেয়েছে, এটি খুব সম্মানের। আমি তার জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

সুমাইয়া বলেন, আমার চাচা স্বপন মিয়া পড়ালেখার ব্যাপারে অনেক সহযোগিতা করেছেন। নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করেছি। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতেন। আমি শিক্ষক হতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া কামনা করবেন।