কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ৪ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি
কালের সাক্ষী হয়ে প্রমত্তা পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ১১০ বছর আগে ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর ওপর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ট্রেন চলাচলের জন্য এ ব্রিজ উদ্বোধন করে। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড র্যাবন হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে এই ব্রিজটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন সরকার আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করতে পদ্মা নদীর ওপর ৫,৮৯৪ ফুট বা ১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণ করে। ১৫টি গার্ডার বা স্প্যান সম্বলিত ব্রিজটি ব্রিটিশ প্রকৌশলী স্যার রবার্ট গেইলসের পেশাগত নির্মাণ শৈলীর স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ১৯০৯ সালের প্রাথমিক জরিপ, জমি অধিগ্রহণ ও গাইডব্যাংক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাইয়ের পর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯১৪ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
ব্রিজটির ওপরে দুইটি ব্রডগেজ রেললাইন স্থাপন করা হয়। ব্রিজের ১৫টি স্প্যানের প্রতিটির উচ্চতা ৫২ ফুট। প্রতিটি স্প্যানের ওজন ১ হাজার ২৫০ টন। ১৫টি স্প্যান ছাড়াও ব্রিজের উভয় পাশে আরও তিনটি করে ছয়টি অতিরিক্ত ল্যান্ড স্প্যান রয়েছে। নান্দনিক এ রেল সেতুটি বর্ষা মৌসুমের হিসাব অনুযায়ী সর্বোচ্চ পানির লেভেল থেকে ৪০ ফুট এবং গ্রীষ্মে সর্বনিম্ন পানি প্রবাহ থেকে ৭১ ফুট উচ্চতায় নির্মিত হয়। এ কারণে এ ব্রিজের নিচ দিয়ে স্টিমারসহ বড় বড় নৌযান চলাচল করতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ বন্ধ করতে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর একটি বিমান থেকে বোমা ফেলে এ ব্রিজের ১২নং স্প্যানটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে ১৯৭২ সালে একই নকশায় এই স্প্যানটি পুনঃস্থাপন করা হয়। তারপর থেকে এখন অবধি ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার রূপপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ব্রিজের সৌন্দর্যে যেকোনো মানুষ বিমোহিত হবে। নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন এ ব্রিটিশ স্থাপনা দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে আসে। এটি শুধু আমাদের এলাকার অহংকার নয় বরং পুরো বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা।
এ ব্রিজের পাশেই সড়ক পথে যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে লালন শাহ সেতু। এছাড়াও এ ব্রিজের পাদদেশেই নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই স্থানে তিনটি স্থাপনা দেখতে প্রতিদিন এখানে মানুষের ভিড় জমে।
ট্রেনচালক (লোকো মাস্টার) রবিউল ইসলাম বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচলে ঝাঁকুনি বা অস্বাভাবিক কিছু মনে হয় না। তবে ব্রিজে চলাচলের সময় ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা রয়েছে।
- চিনিযুক্ত সরবত খেলে শরীরে যা ঘটে
- ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় চলে এসেছে ঈদের আমেজ
- মুখরোচক খাবারে জমজমাট খুলনার ইফতার বাজার
- গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ ও ভাঙচুর, আটক ৩
- ভারত-পাকিস্তান থেকে জাহাজে এলো ৩৭ হাজার টন চাল
- যে কারণে স্যাটেলাইট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে ৭ দিন
- ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের বিকল্প নেই: রিজওয়ানা
- রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
- প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ
- সূর্যমুখীর হাসিতে হাসেন জসীম উদ্দিন
- কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
- রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে এবার মাঠে বিজিবি
- রোজায় পেট ঠান্ডা রাখার সেরা ৫ খাবার
- অস্কারে সেরা চলচ্চিত্রসহ ৫টি পুরস্কার জিতল যে সিনেমা
- নারী উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু ৬ মার্চ
- চলে গেলেন ভাষা সৈনিক মরিয়ম বেগম
- কফির সঙ্গে এসব খাবার ভুলেও খাবেন না!
- হিলিতে কমেছে আদা-পেঁয়াজ ও আলুর দাম
- একাই ৪ স্বর্ণ জয় করলেন নরসিংদীর উর্মি
- সবজিতে স্বস্তি, তেল-চালের বাজার চড়া
- ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ৬ বন্ধুর ‘রস বাগিচা’
- পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে উজ্জীবিত খালেদা জিয়া
- কোচ বাটলারকে নিয়ে সাবিনাদের যত অভিযোগ
- হাঁসের মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি
- শনিবার থেকে শীত আরও বাড়বে
- অমর একুশে বইমেলা: অতীত থেকে বর্তমান
- রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
- বেড়েছে তাপমাত্রা, কমেছে শীতের প্রকোপ
- হাসপাতাল থেকে আজ বাসায় ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া
- ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত