ঢাকা, শনিবার ২৮, ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:২৭:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ইসরায়েলের হামলায় গাজার শেষ হাসপাতালটিও বন্ধ হয়ে গেছে পঞ্চগড়ে পাঁচ দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন আজ দেশের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না ছুটির দিনে সড়কে প্রাণ গেলো ১২ জনের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু সচিবালয়ে সাংবাদিকসহ বেসরকারি সব ‘প্রবেশ পাস’ বাতিল

কেরাণীগঞ্জে গার্মেন্টপল্লীতে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩২ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অভিজাত বিপণী বিতান থেকে ফুটপাতের মার্কেট দখল করে নিয়েছে কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর ও কালীগঞ্জের তৈরি বাহারী রং ও ডিজাইনের আধুনিক সব পোশাক। দামে কম ও কাপড়ের গুনগতমান থাকায় ক্রেতারাও লুফে নিচ্ছেন এ অঞ্চলের তৈরি পোশাক। বিশেষ করে রোজার ঈদ এবং শীতের সময় এ দুই মৌসুমই এখানকার ব্যবসায়ীদের মূল সিজন। রোজা চলছে, তাই ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে নির্ঘুমরাত কাটাচ্ছেন এখানকার দর্জিরা। যদিও বছর জুড়েই চলে নানা ধরনের পোশাক তৈরির কাজ তবে শীত অথবা ঈদ এলেই কারিগরদের হতে হয় গলদঘর্ম। 

এখানকার পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের ঈদের পোশাকের প্রায় ৬০ থেকে ৭০শতাংশ কেরানীগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। 

কালিগঞ্জ, আগানগর ও শুভাঢ্যার বিভিন্ন কারখানায় ঘুরে দেখা গেছে এখানকার তৈরি পোশারে বাজারে রমজানের শুরুতেই ব্যাপক পাইকার সমাগম। দিন-রাত চলছে বাহারীসব পোশাক তৈরির কাজ। বছর জুড়েই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা এখান থেকে তাদের চাহিদা মাফিক তৈরি পোশাক নিয়ে বিক্রি করে থাকে। তবে বিশেষ করে ঈদ-পূজা বা শীত মৌসুমে এখানকার ব্যবসায়ীদের কদর বেড়ে যায় দেশের পাইকারদের কাছে। কাজেই আসছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে এখন জমজমাট পূর্ব আগানগরের তৈরি পোশাকের পাইকারী বাজার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাইকাররা ভিড় জমাচ্ছে কেরাণীগঞ্জের তৈরি পোশাকের বাজারে।

জেলা পরিষদ মার্কেটের এক্সটা ফ্যাসনের সত্ত্বাধিকারী মো. আরিফ জানান, বিগত দুই বছর করোনা মহামারিতে আমাদের ব্যবসায় প্রচুর লোকসার হয়েছে। এ বছর আল্লাহর রহমাতে ভালো সেল হচ্ছে। পাইকাদের চাহিদা অনুযাই পণ্য সরবরাহ করতে পারছিনা। আসা করি পণ্য ঠিক ভাবে দিতে পারলে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো।

এ ব্যাপারে কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুসলিম ঢালী বলেন, মূলত শীত ও ঈদ মৌসুমই আমাদের সবচেয়ে বড় মৌসুম। তাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে এখানকার প্রায় ১০ সহাস্রাধিক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। রোজার মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে তাদের এ ব্যস্ততা। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাকের মার্কেট এটি। বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে গত রোজার  ও কোরবানীর ঈদে তাদের ব্যবসা তেমন ভালো হয়নি। তবে এবছরের পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে এরই মধ্যে ক্রেতা সাধারণ ভিড়তে শুরু করেছে পোশাকের এই পাইকারী বাজারে। 

তিনি জানান, বিগত বছরগুলোতে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু কেরাণীগঞ্জে এখন আর কোন বিদ্যুৎ সমস্যা নেই। যে কারণে তাদের উৎপাদন এবছর আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। 

তিনি বলেন, যে কোন রুচিশীল তৈরি পোশাক এখানে অত্যন্ত সহজ মূল্যে পাওয়া যায়। এ কারণে পাইকারদের তেমন ঘোরাঘুরি করতে হয় না। তা ছাড়া রাজধানীর যে কোন পাইকারী বাজারের তুলনায় আমাদের এখানে কেনাকাটা করে পাইকাররা  কোনরকম যানজট ছাড়াই নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। যে কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাইকারদের কাছে দিন দিন আমাদের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে । 

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী স্বাধীন শেখ বলেন, এখানে কোন শ্রমিক অসন্তোষ নেই। নেই কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। নৌ-পথ ও সড়ক পথে দেশের যে কোন অঞ্চলে সহজে যোগাযোগ এবং যানজটমুক্ত এলাকা হওয়ায় দেশের যে কোন এলাকার পাইকাররাই পছন্দমত কেনাকাটার জন্য এখানে আসেন।