ঢাকা, শুক্রবার ২২, নভেম্বর ২০২৪ ০:১৫:৪০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ের তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা ডেঙ্গুতে একদিনে নয়জনের প্রাণহানী সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, স্বাগত ও ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস রাজধানীতে আজও অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার

কোটা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানালেন আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার কোটা সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে বাদ দিয়ে কিছুই করবে না। কারণ আদালতের যে কোনো বিষয়ে সরকার আগে রায়ের অপেক্ষা করে, তারপর পদক্ষেপ নেয়। তাই কোটার বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করা রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে সরকার। কোটার বিষয়ে আদালত যে রায় দেবে, সরকার সেটা বিবেচনা করবে। সেটা প্রতিপালন করার চেষ্টা করবে। সরকার কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ: বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক সেমিনারে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

সেমিনারে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের দাবীতে করা আন্দোলনের তোপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী ওই কোটা বাতিল করেন। এরপর ২০২১ সালে এসে ৭ থেকে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন। আজ যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি। হঠাৎ একদিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। পরে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্রছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন। আদালত মূল দরখাস্ত বিবেচনা, নিষ্পত্তিকালে তাদের বক্তব্য বিবেচনায় নেবেন। সর্বোচ্চ আদালত তাদের এ আশ্বাস পর্যন্ত দিয়েছেন। তারপরও এ আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে? আন্দোলনের যে স্লোগান দেয়া হচ্ছে, এর প্রয়োজনীয়তা থাকে?’

আনিসুল হক বলেন, যারা আন্দোলন করছেন, তারা যদি- ‘আমি কে, তুমি কে- আমরা বাঙালি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’- বলতেন তাহলে বোঝা যেত- তারা সঠিক পথে আছেন। যৌক্তিক কথা প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই শুনবেন। জনগণের জন্য যেটা ভালো হয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী করবেন। কিন্তু তার সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না। সেই আদর্শ হলো- বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করতে পারবে না। এই চেতনা নিয়েই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দেশে বিচারহীনতার জন্ম দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই অধ্যাদেশ জন্ম দিয়েছিল যাতে এ দেশে রাজাকার, আল—বদর এবং নিজামী মুজাহিদরাই থাকে, মুক্তিযোদ্ধাদের ঠাঁই না হয়। পরে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।