ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তাপমাত্রা নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে

গর্ভে শিশু মৃত্যু কমাতে মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত জরুরী

অনন্যা কবীর | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৬:৫৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার

২০৩০ সালের মধ্যে গর্ভে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা জরুরী। দেশে মৃত শিশু বা গর্ভকালীন শিশু মৃত্যুর হার কমলেও তা ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যথেষ্ট নয়৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভকালীন শিশু মৃত্যুর মূল কারণ গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি। মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা না গেলে এ মৃত্যুর হার দ্রুত কমানো সম্ভব নয়। তারা বলছেন, সঠিক জ্ঞানের অভাবেই গর্ভবতী মায়েরা এখনো অপুষ্টিতে ভোগেন।

 

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানচেট-এর পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে ৮৩,১০০ নবজাতকের মৃত অবস্থায় জন্ম হয়, যা ২০০০ সালের তুলনায় অর্ধেক৷ ২০০০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১,৬০,৩০০৷

 

দেশে মৃত অবস্থায় নবজাতকের জন্ম প্রতিবছর শতকরা ৩.৪ ভাগ হারে কমছে। তবে ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এই হার পাঁচ ভাগের বেশি হওয়া উচিত।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য অনুসারে, ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি হাজারে মৃত শিশুর জন্ম ১২টির নিচে নামিয়ে আনার কথা৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২৮ সপ্তাহ বা ১,০০০ গ্রাম ওজনের শিশুদের এই শ্রেণিতে ফেলছে৷

 

আইসিডিডিআরবি’এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ১,০০০টি শিশুর মধ্যে ২৫.৫টি শিশু মায়ের গর্ভেই মারা যায় অথবা মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়৷ ২০০০ সালে প্রতি হাজারে এই সংখ্যা ছিল ৪২.৩ টি৷

 

দেশে নবজাতক এবং মাতৃমৃত্যুর হার যে হারে কমছে, গর্ভে শিশুমৃত্যুর হার সেই হারে কমছে না৷ বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ৭৪,৪০০টি নবজাতক এবং ৫,৫০০ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়৷ প্রতিবছর তা কমছে শতকরা ৩.৯ এবং ৫.৩ ভাগ হারে৷

 

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শিউলী শামস বলেন, গর্ভে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ গর্ভবতী মায়েদের অপুষ্টি৷ অর্থনেতিক অসচ্ছলতা এবং সঠিক জ্ঞানের অভাবে অর্ধেকেরও বেশি গর্ভবতী মা এখনো অপুষ্টিতে ভোগেন৷ মা অপুষ্টিতে ভুগলে গর্ভের শিশুও অপুষ্টিতে ভোগে৷ এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকও উদ্বিগ্ন।

 

তিনি জানান, গর্ভবতী মায়েদের একটি অংশ ডায়াবেটিস রোগে ভোগেন৷ অনেকে আবার নানা ধরনের সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হন৷ এর প্রধান কারণ ১৮ বছরের আগেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়। তারা কম বয়সে গর্ভধারণ করেন৷ সরকারি হিসেবেও বাংলাদেশে শতকরা ৬৫ ভাগ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়।

 

তিনি আরো বলেন, সরকার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক` চালু করলেও এখনও সে সেবা সবাই পান না। অদক্ষ ধাত্রী এবং দাইয়ে মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হয়৷ এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে চাইলেই সবাই চিকিৎসকের সেবা নিতে পারেন না৷

 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখনও ৫৮ ভাগ শিশুর জন্ম হয় অদক্ষ ধাত্রী বা দাইয়ের হাতে৷ তাছাড়া মাত্র ২৬ ভাগ গর্ভবতী মা সঠিক পরিচর্যা পেয়ে থাকেন৷

 

ডা. শিউলী শামস জানান, এসব কারণেই গর্ভে মৃত্যু বা মৃত শিশুর জন্ম সন্তোষজনক হারে কমছে না৷অথচ এটি কম খুবই জরুরী। এটি না কমলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

 

জানা গেছে, এশিয়া এবং আফ্রিকার উন্নয়নশীল ও মধ্য আয়ের দেশের মায়েরাই প্রধানত মৃত শিশু জন্ম দিচ্ছেন৷ মৃত শিশুর সংখ্যার দিক বাংলাদেশের স্থান সপ্তম৷ তবে যে ১০টি দেশে মৃত শিশু জন্ম নেয়ার উচ্চ হার রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ নেই৷