ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৩:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

গাজায় ৬৬ হাজারের বেশি হতাহত, ৪৫ শতাংশই শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দুই মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল সেনারা। এতে হতাহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই শিশু। এছাড়া গাজায় ৩৬ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেও যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে অন্তত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা সব বর্ণনার বাইরে। আমেরিকান ও ইউরোপীয় সমর্থনে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো অমানবিক। ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে প্রতিদিন শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে এবং হাজার হাজার আহত হচ্ছে। নিহতদের প্রায় অর্ধেক শিশু।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলিরা যেসব এলাকাকে নিরাপদ বলে দাবি করছে সেগুলোকেই বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এটি এখনও গাজা উপত্যকা জুড়ে ঘটছে - কোনও নিরাপদ জায়গা নেই।

গাজার এ কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকারদের ৭০ শতাংশ শিশু ও নারী। তারা যেসব বাড়িতে বাচ্চারা থাকে সেগুলোকে টার্গেট করছে। হতাহতদের প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু। এটা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।

মধ্য ও দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতাল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ১৩৩ জনের মৃতদেহ পেয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শহর দেইর এল-বালাহের আল-আকসা হাসপাতালে ৭১টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ১৬০ জন আহত ব্যক্তিকেও আনা হয়।

এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ৬২ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই হাসপাতালএখনও দক্ষিণ গাজায় পরিচালিত প্রধান চিকিৎসা সুবিধাগুলোর একটি। এছাড়াও ৯৯ জন আহত ব্যক্তিকে সেখানে আনা হয়।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, মাঝারি ক্ষুধায় পতিত হয়েছে গাজার ৫২ শতাংশ এলাকার মানুষ। সেখানকার ৯১ শতাংশ পরিবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় বিছানায় যায় এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ সারাদিনই কোনো খাবার না খেয়ে থাকার কথা জানিয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে এই অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য সরবরাহের চেইন ভেঙে পড়েছে। এছাড়া গাজায় কাজ করা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর মুখপাত্র আদনা আবু হাসনা জানিয়েছেন, গাজায় অনাহারে থাকা মানুষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি আজ চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম- এর মধ্যে একটি খান ইউনিসের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্রে, সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি। আমি আপনাকে বলতে পারি যে রাফাহ এবং খান ইউনিস এবং উত্তরাঞ্চলে বহু ক্ষুধার্ত মানুষ রয়েছে।'

এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার মধ্যে তাদেরকে আরও ১০৬ মিলিয়ন ডলারের ট্যাঙ্ক কার্তুজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সহায়তা এবং অস্ত্র বিক্রি উভয় ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে।

বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে। তবে মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিষয়টি আবারও বিবেচনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।