ঢাকা, শনিবার ২৮, ডিসেম্বর ২০২৪ ১:০৬:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একসঙ্গে চলবে: ড. ইউনূস সবজিতে স্বস্তি, চাল ও মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী টেকনাফে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের ৭২ যাত্রীকে উদ্ধার কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী কাবেরী আটক ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন’ নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫ সাংবাদিক নিহত লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিপণিবিতানে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বিকিকিনি। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি তত বাড়ছে। দোকানিরা বলছেন, ১০ রোজার পর থেকে এবার জমে উঠেছে ঈদ-কেন্দ্রিক কেনাকাটা।

গত দুই বছর করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধ থাকায় আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেননি দোকানিরা। এবার রাষ্ট্রীয় কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় এবং ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তারা বলছেন, ১০ রমজানের পর থেকে বিক্রি বেড়েছে। শেষ দিকে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজারে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লেগে আছে।  এক সময় কাপড়ের পাইকারি বাজার হিসেবে এই বাজারের সুখ্যাতি থাকলেও সময়ের ব্যবধানে খুচরা কেনাকাটার জন্যও টেরিবাজার সুনাম কুড়াচ্ছে। কাপড়ের পাইকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সময়ের বিবর্তনে এখানে স্থান করে নিয়েছে আধুনিক শপিংমল ও মেগাশপ।

ব্যবসায়ীরা জানান, টেরিবাজারে ছোট-বড় প্রায় ৮৫টি মার্কেট রয়েছে। এখানে দোকানের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এসব দোকানে শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবি, শার্ট থেকে শুরু করে থানকাপড়, কসমেটিকসসহ সাজসজ্জার নানা উপকরণ পাওয়া যায়।

সারোয়ার আলম নামে এক ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন টেরিবাজারে। তিনি বলেন, ঈদের সময় যত এগিয়ে আসবে ততই ভিড় বাড়বে। আজ গিফট দেওয়ার জন্য কিছু কাপড় কিনতে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম রাতে ঝামেলা কম হবে। রাতেও দেখি অনেক ভিড়। একসঙ্গে অনেক দোকান থাকায় প্রতি বছর টেরিবাজার থেকেই কেনাকাটা করি।

টেরিবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শবে বরাতের পর থেকে তাদের বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ১০ রমজানের পর বিক্রি অনেক বেড়েছে।

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, শবে বরাতের পর থেকে রমজান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রচুর বিক্রি হয়েছে। তারপর প্রথম রমজান থেকে ১০ রমজান পর্যন্ত বিক্রি কিছুটা কম হয়েছে। তবে ১০ রমজানের পর থেকে এখন প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছি। রমজানের শেষ দিকে ব্যাপক বেচাকেনা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে চলে আসছে বলি খেলা ও মেলা। লালদিঘীর ময়দানে মেলা বসলে টেরিবাজারের ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। মেলার কারণে মানুষের আসার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে, যানজট বেড়ে যাবে। ফলে ক্রেতারা টেরিবাজারে আসতে চাইবে না। আমরা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করি। করোনার কারণে ২০২০ ও ২১ সালে ব্যবসা করতে পারিনি। ২০২২ সাল আমাদের ব্যবসার ভালো একটি সময়। এরপর রমজানের শেষ সময়ে এসে যদি বলি খেলা হয়, তাহলে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়ব। বলি খেলা ও মেলা এখান থেকে সরিয়ে সিআরবিতে নেওয়ার অনুরোধ করছি।

অন্যদিকে সব ধরনের কেনাকাটার জন্য চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার ও তামাকুমন্ডি লেন খুবই জনপ্রিয়। কম দামে ভালো পণ্যের জন্য ক্রেতাদের পছন্দের বাজার এটি। ঈদ ঘিরে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় এ বাজারে ধনী-গরিব সব শ্রেণির ক্রেতার মেলবন্ধন ঘটে।
সোমবার সকালে রিয়াজ উদ্দিন বাজারের সিটি মার্টের ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, গত দুই বছর ব্যবসায়ীরা এক প্রকার সংকটকাল কাটিয়েছে। দুই বছরের স্থবিরতা কাটিয়ে এবার ব্যবসা কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। এবার রমজানের শুরু থেকে ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ঈদ পর্যন্ত এ ভাব বজায় থাকবে বলে আশা করছি।