ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ০:১১:৪০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শেখ হাসিনাকে নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় নির্বাচন কবে জানালেন ড. ইউনূস মার্কিন দপ্তরে সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হচ্ছেন তুলসী

ছাদখোলা পর্যটন বাস এখন চট্টগ্রামের ব্র্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শীত আসতেই সমুদ্রসৈকত থেকে শুরু করে পাহাড়ি ঝরনায় প্রতিদিনই ঘুরতে আসা পর্যটকদের লম্বা লাইন পড়ে। প্রকৃতিগতভাবে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও পারকি সৈকত চট্টগ্রাম ঘুরতে আসা মানুষের পছন্দের শীর্ষে থাকে। এরপর পর্যটকদের মনে স্থান পায় মিরসরাইয়ের আটটি প্রাকৃতিক ঝরনা। মহামায়া লেকও  ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আরেকটি পছন্দের পর্যটন স্পট। শুধু মহামায়া লেক ঘিরে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধার কিছু উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ সরকার নিলেও অন্য পর্যটন স্পটে খুব একটা আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। 
শীত মৌসুমে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠলেও পর্যটক আকৃষ্ট করতে খুব তেমন কোনো ব্র্যান্ডিং নেই। তবে জেলা প্রশাসন থেকে ‘ছাদখোলা পর্যটন বাস’ নতুন আকর্ষণ হলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে পর্যটনবান্ধব আয়োজনটির সুফল পর্যটকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। সুন্দর পরিকল্পনা ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে পর্যটনবান্ধব ‘ছাদখোলা পর্যটন বাস’ শুধু চট্টগ্রাম নয়; চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার পর্যন্ত একটি ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রসারিত হবে পর্যটনের বিকাশ ও সমৃদ্ধি।

বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর ম্যানেজার জুলফিকার আলী সমকালকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলার পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ছাদখোলা পর্যটন বাস সারাদেশে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ সেবা প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে। প্রথমে শুক্র ও শনিবার দুটি দ্বিতল বাস দিয়ে পতেঙ্গা, ডিসি পার্কসহ একটি নির্ধারিত রুটে পর্যটকদের আনন্দ বিনোদন সেবা দিয়েছি। এখন নতুন করে বায়েজিদ লিংক রোড় দিয়ে আরেকটি রুটেও ছাদখোলা পর্যটন বাসে পর্যটকদের পতেঙ্গাসহ বিনোদন স্পট ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিয়েছি আমরা। পর্যটন সেক্টরে ছাদখোলা পর্যটন বাস একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতে পরিকল্পিতভাবে ব্র্যান্ডিং করা গেলে পর্যটনের বিকাশে এ সেবা গোটা চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।       

চট্টগ্রামে ভ্রমণপিসাসু মানুষ মানকে প্রশান্তি দিতে ছুটে যান পতেঙ্গা ও পারকি সাগর পাড়ে। চাঁদের আলোয় মেতে উঠেন আড্ডায়। পতেঙ্গা সৈকতকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আধুনিকায়ন করায় এখন সহজেই সিঁড়ি দিয়ে সাগরের পানিতে শরীর ভেজাতে নামতে পারছেন যে কেউ। সন্ধ্যার পর নিরিবিলি সময় কাটাতে অনেকই ছুটে যান এখানে। আবার পরিবার নিয়েও ছুটির দিনে ঘুরতে যান বহু মানুষ। শীত মৌসুমে ঘুরতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় সমুদ্রসৈকতে সূর্যাস্তের অসাধারণ মুহূর্ত সবার প্রিয়। মানুষ যাতে কম খরচে সৈকত ও পার্ক ঘুরে বিনোদন পেতে পারেন সেই উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন বিকেল ৩টা ও ৪টায় নগরীর টাইগারপাস থেকে ডিসি পার্ক হয়ে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পথে যাত্রা করে পর্যটক বাস। সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ৮টায় শহরে ফিরে আসে বাস দুটি। তবে ছুটির দিনগুলোতে বিকালের পাশাপাশি সকালেও চলাচল করে বাস সার্ভিস। প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টায় টাইগারপাস থেকে পতেঙ্গা সৈকতে যাত্রা করে ফেরে বেলা ১২টায়। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১০টায় দু’বার টাইগারপাস থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। 
বাস দুটো পতেঙ্গা সৈকত থেকে টাইগারপাসের উদ্দেশে ফিরতি যাত্রা করে বেলা ১২টা ও দুপুর ১টায়। বাস ভ্রমণের জন্য টাইগারপাস থেকে ডিসি পার্ক ৪০ টাকা, ডিসি পার্ক থেকে পতেঙ্গা সৈকত ৩০ টাকা, টাইগারপাস থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ৭০ টাকা, একইভাবে পতেঙ্গা থেকে ডিসি পার্ক ৩০ টাকা, ডিসি পার্ক থেকে টাইগারপাস ৪০ টাকা, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে টাইগারপাস ৭০ টাকা টিকেট করে ঘুরে দেখতে পারছেন। 
সমুদ্রের পরই ভ্রমণ–পাগল মানুষরা ছুটে যাচ্ছেন মিরসরাই’র আটটি প্রাকৃতিক ঝরনা ও মহামায়া হ্রদে। ১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের জল আর রোদের মিতালীর সঙ্গে ঝরনায় শরীর ভেজানোর অন্যরকম আনন্দ উপভোগে মেতে উঠছেন তারা। হ্রদের আকাঁবাকা পাহাড়ি পথে নৌকায় চড়ার স্বাদ নিতে লেকে ভাসানো হয়েছে রঙিন ডিঙ্গি নৌকা। কেউ কেউ আবার খইয়াছড়ায়ার দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক ঝরনা ও মনোমুগ্ধকর জলপ্রভাতে ছুটে যান। 
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শাহানশাহ নওশাদ বলেন, ‘মহামায়াহ্রদে সৃষ্টি হওয়ার পর এখানে পিকনিক করার জন্য কোন ব্যবস্থা ছিল না। এখন বড় পিকনিক শেড, রান্নাঘর, সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৮ কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। পাহাড়চূড়ায় উঠা ও হ্রদে নামার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। দুটি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক নতুনত্ব এসেছে এখানে। পর্যায়ক্রমে দুটি বড় ইকো রিসোর্ট, ঝুলন্ত সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।’ 
এছাড়া কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ হওয়ায় খুব সহজেই জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতিতে ভরপর পারকি সৈকতে লাল কাঁকড়া ও সমুদ্রের গর্জন উপভোগ করতে বহু মানুষ ছুটে যাচ্ছেন। অনেক মানুষ আবার সীতাকন্ডের অপরুপ সৌন্দর্যের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ঘুরতে যান। কারণে সৈকতজুড়ে সবুজ ঘাসের গালিচার মাঝে আবার প্রাকৃতিকভাবে বয়ে চলেছে আঁকাবাঁকা নালা, ছোট ছোট