ঢাকা, রবিবার ০৮, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭:৩৩:০১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন কুমিল্লায় বন্যায় ১১০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি যে কারণে বাড়ছে চালের দাম গাজায় টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা:নিহত ২৭ শুল্ক কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, ৩ জনের প্রাণহানী

জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে নারীরা যেদিকে নজর দেবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ২৩ জুন ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

অনেক নারীই জরায়ুমুখ ক্যানসারে ভোগেন। পরিসংখ্যান বলছে, পুরো বিশ্বে নারীরা যত রকমের ক্যানসারে ভোগেন, তার মধ্যে সংখ্যার বিচারে চতুর্থ পরিচিত এটি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এর নিরাময় সম্ভব।

তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জরায়ুমুখ ক্যানসার এড়াতে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। যার মধ্যে অন্যতম হলো সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বা এসটিআই (এসটিআই)।


কারণ যৌন সংসর্গের মাধ্যমে ছড়াতে পারে হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস। যার সঙ্গে প্রায় সব কটি জরায়ুমুখ ক্যানসারের যোগাযোগ আছে বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)। অতএব এসটিআই নিয়ে সাবধান।

এসটিআই আসলে কী?
যদি যৌন সংসর্গের ফলে এক ব্যক্তির দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা প্যারাসাইট অন্য জনের দেহে চলে যায়, তখন তাকে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বলে। সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদির মতো এসটিআই বা সংক্রমণের চিকিৎসা রয়েছে।

তবে হেপাটাইটিস বি, হারপিস সিম্পপ্লেক্স ভাইরাস, এইচআইভি ও হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে তার কোনো নিরাময় নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৯৫ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যানসারের নেপথ্যে থাকে এই হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস। আর মার্কিন সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) জানাচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস একজনের দেহ থেকে সরাসরি যৌন সংসর্গের ফলে অন্য দেহে চলে যায়।

যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী আছে বা যাদের এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। ধূমপায়ীদেরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
এই ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারে প্রতিষেধক। আগেভাগে এইচপিভি’র টিকা নিলে ভাইরাল সংক্রমণ ও এ সম্পর্কিত আরও কিছু রোগের ঝুঁকি কমে।

তাছাড়া নিয়মিত প্যাপস্মেয়ার পরীক্ষার পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এক্ষেত্রে নিরাপদ যৌন সংসর্গই সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।