জয়পুরহাটে পাকিস্তানী হানাদাররা প্রথম গণহত্যা শুরু করে ২৫ এপ্রিল
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
জয়পুরহাট জেলাবাসীর জন্য এক আতংকের দিন ২৫ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এ দিনে জয়পুরহাটে প্রবেশ করেই পাকিস্তানী হানাদাররা সাধারণ মানূষের ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি শুরু করেছিল গণহত্যা। এদিনের কথা মনে হলে আজও আঁতকে ওঠেন স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের দিক নির্দেশনামূলক ভাষণের পর থেকেই জেলায় আওয়ামীলীগ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাপ ( মোজাফ্ফর) নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। জেলার আক্কেলপুর ষ্টেশনের অদূরে হলহলিয়া রেলওয়ে ব্রীজের দক্ষিণ অংশে বিস্ফোরক ব্যবহার করে উড়িয়ে দেয়াসহ রেল লাইনের দুপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষে আক্কেলপুর থেকে সান্তাহারের কাছাকাছি পর্যন্ত রেল লাইনের বেশ কতকগুলো স্থানে লাইন উপড়ে ফেলে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। পূর্ব দিক থেকে আক্কেলপুর সদরে আসার প্রবেশ পথ নবাবগঞ্জ ঘাটের বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো ভেঙ্গে দেয়। পাকিস্তানী হানাদাররা জয়পুরহাটে যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কালু মিয়া, শাকিল আহমেদ ও আবুল কালামের নেতৃত্বে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের হাড়াইল ছোট ব্রীজটি ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জয়পুরহাট ষ্টেশনের অদূরে উড়ি এলাকায় রেল লাইনের নাট বল্টু খুলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরেও ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল শনিবার মধ্যরাতে ট্রেন যোগে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী প্রথম জয়পুরহাটে প্রবেশ করে এবং রেলস্টেশনেই প্রথম ক্যাম্প স্থাপন করে। ২৫ এপ্রিল জয়পুরহাট থানাসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী । এদিন খুব সকালে প্রথমে জয়পুরহাট থানা দখল করে । এখানে পাকিস্তানী সেনারাদের গুলিতে মারা যায় ২০/২২ জন। এভাবে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানী সেনারা। ওই দিনই জয়পুরহাট শহরের সিমেন্ট ফ্যাক্টরী এলাকা হাতিল বুলুপাড়া ও চকগোপাল মৌজার গাড়িয়াকান্ত এলাকায় ৩৬ জনকে ধরে এনে তাদের দিয়ে প্রথমে গর্ত করা হয়। পরে লাইন করে গুলি চালিয়ে সেই গর্তে ফেলা হয় তাদের । হাতিল-বুলুপাড়াতে একই পরিবারের ৮ জনসহ ১৭ জনকে ও চিনিকল সংলগ্ন বুলুপাড়া মাঠে ১০ জনকে সারিবদ্ধভাবে হত্যা করে পাকিস্তানী সেনারা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এলাকা গুলো চিহ্নিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বজনরা। পূর্ব বাজারের দর্জি নাজির হোসেন ও আব্দুস সালাম নামে দু’জনকে হত্যা করা হয়। এসময় বাজার গলির রাম কুমার খেতান ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বের হলে তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। জয়পুরহাট সরকারি কলেজে প্রশিক্ষণ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার সরবরাহ করার অপরাধে পাঁচুরচক এলাকার লুৎফর রহমানকে ধরে এনে কয়লা ইঞ্জিনের ভিতর ঢুকে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার বর্ণনা দেন সেই সময়ের ছাত্রনেতা তবিবর রহমান। সাধারণ মানুষের উপর নির্মম ভাবে নির্যাতন ও গনহত্যার খবর পেয়ে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও পাক-সেনাদের দিক নির্দেশনা দানকারী আব্দুল আলীমের ( পরবর্তীতে আর্ন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত ও বর্তমানে মৃত) বাড়ি ঘেরাও করে মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় মুসলিম লীগ ও জামায়াতের নেতা-কর্মিসহ তাদের গঠিত রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে আব্দুল আলীমকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জয়পুরহাট ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করায় আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পরে হলেও জেলা প্রশানের উদ্যোগে জয়পুরহাট জেলায় বধ্যভূমি গুলো চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে এটিও আশার খবর বলে জানান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও গবেষক আমিনুল হক বাবুল।
জয়পুরহাট মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর শক্ত ঘাঁটি হওয়ার কারণে এখানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তেমন প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। পাক-সেনাদের শক্ত ঘাঁটি স্থাপনের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তাদের নির্মিত কংক্রিট ব্যাংকাটি জেলা বাসীর কাছে কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে আজও। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পালনকারী জাকারিয়া হোসেন মন্টু বলেন , জয়পুরহাটের গণহত্যা চলে আব্দুল আলীম ও আব্বাস আলী খানের দিক নির্দেশনায়। বিশেষ করে আব্দুল আলীমের (যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আমৃত্যু সাজা প্রাপ্ত এবং মৃত) প্রত্যক্ষ মদদে জয়পুরহাটে দেশের বৃহত্তর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ১৯৭২ সালে এদের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা হলে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। এ মামলায় স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার খনজনপুরের শামসুল আলমের ১০ বছর ও শহীদুল্লাহর ৭ বছর জেল হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও ক্ষমতার পালাবদলে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে সাজা মওকুফ করলে সকলেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান। দালাল আইনের মামলার বিষয়ে জয়পুরহাট থানায় একটি রেকর্ড রয়েছে।
- ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- ইসরায়েলকে রক্ষায় জাতিসংঘে ৪৯ বার ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের!
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- রাজধানীতে আজও অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ
- রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার
- সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
- শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, দিনভর থাকছে নানা আয়োজন
- সাফজয়ী তিনকন্যাকে সংবর্ধনা দিবে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন
- পর্যটকদের সেন্টমার্টিন যেতে লাগবে ট্রাভেল পাস
- বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
- কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- খালেদাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- স্নাতক পাসে চাকরি দেবে আড়ং
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২
- যানজটে দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে
- সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে