ঢাকা, শনিবার ২৩, নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪৩:৩৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

জয়পুরহাটে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০২ পিএম, ৭ জুন ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জয়পুরহাটে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ বোরো ধান কাটা মাড়াই সমাপ্ত হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।    
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,  চলতি  ২০২৩-২০২৪ রবি  মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭ শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর । খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে  লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সর্বশেষ জেলায় ৬৯ হাজার ৬০৫  হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ হয়েছে।  এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ মে.টন।  জেলার  বোরো ধানের মাঠ জুড়ে চলছে  ধান কাটা উৎসব। মেঘাছন্ন আকাশের কারণে  কৃষকের  সোনালী  স্বপ্নের  বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়লেও কৃষি বিভাগের পরামর্শে আগেই ধান কাটা শুরু করেন কৃষকরা ।  কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে বুধবার পর্যন্ত  জেলায় ৬০ ভাগ বোরো ধান কাটা মাড়াই সম্পন্ন  হয়েছে। ঝড়ো হাওয়া সম্পর্কিত আবহাওয়ার আগাম বার্তায়  কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠে থাকা পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। 
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রাম, বানিয়াপাড়া, ক্ষেতলাল উপজেলার বোরো ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়,  মাঠের বোরো ধান কাটা মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত সপ্তাহের  ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকা গুলোর ধান কাটতে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় কৃষকদের। প্রতিবিঘা জমির বোরো ধান কাটতে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা লেবার খরচ পড়ে। বৃষ্টির কারণে সেই ধান কাটায় লেগে যায় চার হাজার টাকা। তবুও লেবার পাওয়া যাচ্চে না বলে জানান কৃষকরা। কোমর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, কোরবান আলী জানান, বোরো ধানের এবার ফলন ভালো হয়েছে। ধান কাটার প্রস্তুতি গ্রহণ করতেই আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে পড়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়লেও হারভেস্টর মেশিন দিয়ে দ্রুত ধান কেটেছেন বলে জানান তিনি। আটিদাশরা গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, এবার ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন এবং ফলনও ভালো হয়েছে। আকাশের অবস্থা দেখে দ্রুত ধান কাটা মাড়াই সম্পন্ন করছেন বলে জানান তিনি। বর্তমান বাজারে বোরো ধান প্রকার ভেদে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।    
জেলায়  কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক কৃষকদের স্বপ্নের বোরো ধান কাটা মাড়াই শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।