ঢাকা, শুক্রবার ১৮, অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৪৭:০০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ: ইউএনডিপি শেখ পরিবারের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, আঘাত হানতে পারে যেখানে ডিমের পর এবার মুরগির বাজারে অস্বস্তি একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই

ডিপ্রেশনে ভুগছেন? এই পানীয়গুলো পান করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ৩ জুন ২০২৪ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ডিপ্রেশন শব্দটির সঙ্গে এখন অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অনেকে এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিকে প্রভাবিত করছে এই মানসিক ব্যাধি। ডিপ্রেশনে ভুগলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে খাবার, জীবনযাপনের ধরনেরও আনতে হবে পরিবর্তন। কিছু পুষ্টিকর পানীয় আপনার ডিপ্রেশন কাটাতে সহায়ক হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন পানীয়গুলো পান করবেন-


১. গ্রিন টি

গ্রিন টি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব সহ অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বিখ্যাত। এই পানীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, বিশেষ করে এর ক্যাটেচিন নামক উপাদান স্ট্রেস কমাতে এবং শিথিলতা বাড়াতে কাজ করে। গ্রিন টি-তে থাকা এল-থেনাইন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড শিথিলতাকে উৎসাহিত করে এবং সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো শান্ত নিউরোট্রান্সমিটারের উৎপাদন বাড়িয়ে উদ্বেগ কমায়।

২. হলুদ মিশ্রিত দুধ

হলুদ মিশ্রিত দুধ যা কি না গোল্ডেন মিল্ক নামেও পরিচিত। এটি হলুদ, দুধ, দারুচিনি এবং আদার মতো অন্যান্য মসলা দিয়ে তৈরি সুস্বাদু পানীয়। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত যৌগ। গবেষণায় দেখা গেছে যে কারকিউমিন মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (বিডিএনএফ) এবং সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে মেজাজ উন্নত করতে পারে, যা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে হ্রাস পায়। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহজনিত ডিপ্রেশনের উপসর্গ উপশম করতে সাহায্য করে।


৩. ক্যামোমাইল টি

ক্যামোমাইল টি পেশীর শিথিলতা বাড়ানো এবং উদ্বেগ কমানোর জন্য একটি সুপরিচিত ভেষজ প্রতিকার। এর হালকা প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ঘুমের গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে। ডিপ্রেশনের ভুগলে ঘুম অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ক্যামোমাইলে রয়েছে এপিজেনিন, এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট রিসেপ্টরকে আবদ্ধ করে উদ্বেগ কমায় এবং ঘুমের উন্নতি ঘটায়।

৪. হালকা গরম দুধ

হালকা গরম দুধ ঘুম এবং পেশীর শিথিলতা বাড়াতে কাজ করে। দুধে ট্রিপটোফ্যান রয়েছে, এটি একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড যা শরীর সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিনে রূপান্তরিত করে, উভয়ই মেজাজ এবং ঘুম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয়। এই অ্যামাইনো অ্যাসিড সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা মেজাজ উন্নত করে এবং সুস্থতার অনুভূতি বাড়ায়। দুধ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস, যার উভয়ই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫. ডার্ক চকোলেট ড্রিংক

ডার্ক চকোলেটে এমন যৌগ রয়েছে যা ইতিবাচকভাবে আপনার মেজাজ এবং মস্তিষ্কের ফাংশনকে প্রভাবিত করতে পারে। পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে ডার্ক চকোলেট ড্রিংক মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করার একটি আনন্দদায়ক উপায় হতে পারে। ডার্ক চকোলেট ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কে রক্ত ​​​​প্রবাহ উন্নত করতে এবং এর কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।