ঢাকায় কিভাবে কাটে তরুণীদের অবসর সময়
বিবিসি বাংলা অনলাইন | উইমেননিউজ২৪.কমআপডেট: ১০:২৩ পিএম, ১৭ জুন ২০১৮ রবিবার
রাজধানী ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কয়েক লাখ তরুণী চাকরি করেন। তাদের অনেকে ঢাকায় যেমন পরিবারের সঙ্গে থাকেন, আবার অনেকে একাই বসবাস করছেন।
কিন্তু নিয়মিত চাকরির বাইরে কেমন তাদের অবসর জীবন? এত বড় একটি শহরে তাদের বিনোদনের কতটা সুযোগ রয়েছে?
ঢাকায় নানা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে কয়েক লাখ তরুণী চাকরি করছেন। কিন্তু অফিস আর বাসার নিয়মিত রুটিনের বাইরে তারা কি করেন?
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আমেনা আখতার। তিনি ভালো আয় করেন, কিন্তু বলছেন, নিজের বিনোদনের কথা চিন্তা করার সময় তাকে পারিবারিক অনুশাসন আর সমাজের কথাও চিন্তা করতে হয়।
তিনি বলছেন, ``আমার একজন স্বাধীনতা মতো, নিজের ইচ্ছামতো নিরাপদে ঘুরবো ফিরবো সেটা এখানে সম্ভব না। যেমন হয়তো অফিসের পর বন্ধুদের সাথে ঘুরলাম, এরপর রাত ৯টা বা ১০টায় বাসায় ফিরে বিশ্রাম নিলাম, যাতে আমার রিফ্রেশমেন্টও হল, ঘোরাফেরাও হল আবার কাজও হল, কিন্তু এই ঢাকাতে সম্ভব না।``
এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন ``আমি যে সোসাইটিতে থাকি, সেখানে রাত ১০টার সময় যদি কোন মেয়ে বাসায় যায়, তখন অনেক কথা উঠবে। এজন্য সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মেয়েদের স্বাধীনতার জন্য সমাজেরও পরিবর্তন দরকার।``
বাংলাদেশের তরুণীরা বলছেন, ঘুরে বেড়ানো বা রেস্তোরায় খাওয়া তাদের বিনোদনের অন্যতম উপায়
Image caption
বাংলাদেশের তরুণীরা বলছেন, ঘুরে বেড়ানো বা রেস্তোরায় খাওয়া তাদের বিনোদনের অন্যতম উপায়
ঢাকার তরুণী চাকরিজীবীরা বলছেন, ঢাকায় চলাচলের সমস্যা, যানজট আর নিরাপত্তা অভাবের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের ঘরে সামাজিক মাধ্যমে বা টেলিভিশন দেখে সময় বেশি কাটে। তার বিবাহিত তরুণীদের অফিসের বাইরে সংসার সামলাতে অনেক সময় কেটে যায়।
তাহেরা সুলতানা নামের একজন তরুণী বলছেন, ``একজন ছেলের মতো আমরা ইচ্ছা করলেই বাইরে যেতে বা ঘুরাফিরা করতে পারছি না। এ কারণেই সামাজিক মাধ্যম গুলোতেই আমাদের বেশি সময় কাটছে। এর মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই বেশিরভাগ সময় কাটে।``
অনেকে শপিং মলে ঘুরে বেড়াতে বা কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। এর বাইরে তাদের কাটানোর আরেকটি উপায় কোন উপলক্ষ ধরে রেস্তোরায় খাওয়া দাওয়া করা।
আমেনা আখতার যেমন বলছেন, ``অনেক সময় পরিবার বা বন্ধুদের কেউ বলে, ভালো লাগছে না, চলো কোথাও থেকে ঘুরে আসি। কিন্তু কোথায় ঘুরতে যাবো? পার্কের যে অবস্থা, সেখানে তো যাওয়া যায় না। নিরাপত্তার অভাব। তখন চিন্তা করি, একটা ভালো রেস্তোরায় গিয়ে আজ একজন খাওয়াচ্ছে, কাল আরেকজন। এটাই যেন এখন আমাদের সবচেয়ে বড় বিনোদন হয়ে দাঁড়িয়েছে।``
তবে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী কানিজ ফাতেমা বলছেন, মেয়েদের জন্য ঢাকার মতো একটি মহানগরীতে আরো কিছু সুযোগ সুবিধা থাকা উচিত।
তিনি বলছেন, ``এরকম যদি কোন জায়গা বা সংস্থা থাকতো, যেখানে গিয়ে মেয়েরা ছেলেদের মতো সময় কাটাতে পারবে, যেমন টেনিস, ব্যাডমিন্টন বা গলফ খেলতে পারবে, তাহলে খুব ভালো হতো। ঢাকায় যে দুই একটি ক্লাব রয়েছে, সেখানে সবাই যেতে পারে না বা অনেকগুলো মেয়েদের জন্য নিরাপদও না। তাই সবার জন্য এরকম জায়গা হলে অনেকে যেতে পারতো।``
এসব ক্ষেত্রে সমাজের মনোভাবেরও পরিবর্তন দরকার বলে তিনি মনে করেন।
সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফাছবির কপিরাইটRAHAT MAHFUZ
Image caption
সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফা বলছেন, গত দুই দশকের তুলনায় বিনোদনের বিষয়ে নারীদের মনোভাবের অনেক পরিবর্তন হয়েছে
সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, গত দুই দশকের তুলনায় বাংলাদেশের মেয়েদের সামাজিক অবস্থানের যেমন অনেক পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি তাদের অবসর বা সময় কাটানোর ধরনেরও অনেক পরিবর্তন এসেছে।
সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফা বলছেন, এক সময় বই পড়া বা সপ্তাহে একদিন সিনেমা দেখার মধ্যে যে বিনোদন সীমাবদ্ধ ছিল, তা এখন গণ্ডি পেরিয়ে দেশের ভেতরে বাইরে ভ্রমণেও রূপান্তরিত হচ্ছে।
সামিনা লুৎফা বলছেন, ``গত দুই দশকে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত নারীরা অনেক বাইরে এসেছে। অবসর নিয়ে তাদের ধারণাও অনেক পাল্টে গেছে। অনেকে হয়তো কর্পোরেট চাকরি শেষে, যানজট ঠেলে আসা যাওয়ার পর বিনোদনের ইচ্ছাটাও থাকে না। আবার নিরাপত্তারও অনেক অভাব আছে। তারপরেও নিজের বিনোদন নিয়ে নারীদের মনোভাবের অনেক পরিবর্তন হয়েছে।``
``হয়তো আমাদের দেশে ক্লাব, পাব এগুলো সে অর্থে নেই বা যা আছে, তাও হাতেগোনা উচ্চবিত্তদের গণ্ডির মধ্যে। কিন্তু সেটাই তো একমাত্র বিনোদন নয়।``
সামিনা লুৎফা বলছেন, ``আগে যেমন শুধু সিনেমা দেখতে যাওয়া ছাড়া বা বই পড়া ছাড়া নারীদের তেমন কিছু করার ছিল না। কিন্তু এখন তারা সামাজিক মাধ্যমে অনেক সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি দল বেধে ঘুরতে যাচ্ছেন। আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার কারণে তার নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বেড়েছে। এখন তারা একা বা দল বেধে ঘুরতে যেতে পারেন। এগুলো কিন্তু দুই দশক আগেও ছিল না।``
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি মহানগরী হিসাবে ঢাকার বাসিন্দাদের বিনোদনের যেসব সুযোগসুবিধা থাকা উচিত তার অনেক কিছুই হয়তো এখনো পর্যাপ্ত নয়, আর মেয়েদের জন্য তা আরো অপ্রতুল। তবে তাদের মতে, ধীরে হলেও সেই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
- সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক
- ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল
- ৫৭ বয়সেও মাধুরী দীক্ষিত যেন পঁচিশের তরুণী!
- জেনে নিন ভাপা পিঠার সহজ রেসিপি
- প্রথমবার দুঃসাহসিক অভিযানে ইহুদি মেয়েরা
- রোববার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি
- রাজাপুরের বধ্যভূমি আজো অরক্ষিত
- বিশ্বের সবচেয়ে খাটো দম্পতির গিনেস রেকর্ড
- সাগরে আরেকটি লঘুচাপ, যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- সম্পদের হিসাব জমা না দিলে শাস্তি হতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের
- ‘নারীরা লড়াই করেছেন সমানতালে, এখন কেন আড়ালে’
- ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- সড়ক দুর্ঘটনায় পরীমণির প্রথম স্বামী নিহত
- এক ইলিশের দাম ৬ হাজার টাকা!
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- স্নাতক পাসে চাকরি দেবে আড়ং
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২
- পঞ্চগড় থেকে দেখে আসুন কাঞ্চনজঙ্ঘা