ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫, এপ্রিল ২০২৫ ২১:১৫:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মহাকাশ ঘুরে এলেন কেটি পেরিসহ ৬ নারী গাজায় নিহত আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি, ৫১ হাজার প্রাণহানি শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঢাকার সড়কে সকালে গণপরিবহন কম, অফিসগামীদের ভোগান্তি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বাংলা একাডেমিতে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী মেলা অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ আর নেই

তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে, জানতে চান অবন্তিকার মা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে কী আছে, তা জানতে চেয়েছেন অবন্তিকার মা। গত ১৩ জুন ওই প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. জাকির হোসেন। 

এদিকে ময়নাতদন্ত ও মোবাইল ফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন না আসায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের দায়ের করা মামলায় চার্জশিট সাত মাসেও দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে জামিন পেয়েছেন মামলায় গ্রেপ্তার জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিক। 

পুলিশ বলছে, অবন্তিকার মোবাইল ফোনে কিছু ছবি, স্ক্রিন শট ও মেসেজ পাওয়া গেছে, যা তদন্তে সহায়ক হবে। যেহেতু অবন্তিকা ফেসবুকে আত্মহত্যার কথা লিখে গেছেন, তাই তাঁর মোবাইল ফোন আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হয়তো ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনও আসেনি। তাই মামলার চার্জশিট দিতে দেরি হচ্ছে।

গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এজন্য দ্বীন ইসলাম, রায়হান আম্মান সিদ্দিকসহ বেশ কয়েকজনকে দায়ী করেন তিনি। পরে এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে জবি প্রশাসন। ১৩ জুন কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রতিবেদনের খামটি সিলগালা করে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কী আছে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রকাশ করবে এবং বিধি মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে। আগাম কিছু বলা যাবে না।’ 

তবে মামলার বাদী অবন্তিকার মা বলেন, ‘জবির তৎকালীন উপাচার্য তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিন্তু চার মাসেও জানা গেল না সেই রিপোর্টে কী আছে।’ মেয়ের আত্মহত্যার নেপথ্যে থাকা লোকদের শাস্তি পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তাহমিনা শবনম বলেন, ‘ঘটনার দুই হোতা আদালতে জামিন পেয়েছেন। আরও যারা জড়িত, তাদের শাস্তি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।’ বিচারের অপেক্ষায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, ‘অবন্তিকার শিক্ষক ও সহপাঠীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সব রিপোর্ট হাতে এলে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।’