ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১, নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৮:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ের তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা ডেঙ্গুতে একদিনে নয়জনের প্রাণহানী সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, স্বাগত ও ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস রাজধানীতে আজও অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার

ত্রিশের পরে যে কারণে মেয়েদের জন্য জরুরি কোলাজেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ১৫ জুন ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন যা, সকলের শরীরে থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে কোলাজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের অনেক অংশে পাওয়া যায়, যেমন চর্বি, গাঁট, লিগামেন্ট ইত্যাদি। এটি ত্বক, নখ এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। শরীর স্বাভাবিকভাবেই কোলাজেন তৈরি করে, তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন কমতে থাকে। বিশেষত ৩০ বছর বয়সের পরে এই সমস্যা হতে শুরু করে। তখন বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার বয়স বাড়ার এ প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে দেবে। খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলেই শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক, ৩০ বছর বয়সের পরে যে কারণে কোলাজেন গ্রহণ করা উচিত এবং যা খেলে শরীরে বাড়বে কোলাজেন।

যে কারণে কোলাজেন গ্রহণ করা উচিত—

ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং হাইড্রেশন বজায় রাখার জন্য দায়ী। শরীরে কোলাজেনের উৎপাদ কমতে শুরু করলে, মুখে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা দেখা দিতে থাকে এবং ত্বকও খুব আলগা হয়ে যায়। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কোলাজেন অন্তর্ভুক্ত করে, ত্বকের যত্ন নিতে পারেন এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমানো সম্ভব।

মজবুত চুল ও নখ: চুল ও নখের জন্য কোলাজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শরীরে কোলাজেনের মাত্রা কম থাকায় নখ সহজে ভাঙতে শুরু করে এবং চুলও খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। কোলাজেন গ্রহণ করলে চুল ও নখ সুস্থ থাকে।

পাকস্থলীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ: কোলাজেনে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা, পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে, যা হজমের সমস্যা হতে পারে। কোলাজেন গ্রহণের ফলে অন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হজমও ঠিক মতো হয়।

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি: হাড়েও কোলাজেন পাওয়া যায়। এটি হাড়ের গঠন ঠিক রাখে এবং শক্তিশালী করে। ৩০ বছর বয়সের পরে, হাড়ের ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে কোলাজেন গ্রহণ করে হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করা সম্ভব।

কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো সরাসরি ত্বকে কোলাজেনের গঠন বাড়াতে পারে—

মুরগির মাংস: অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুরগির মাংসে অ্যামিনো অ্যাসিড ভালো মাত্রায় থাকে। ফলে প্লেটে নিয়মিত মুরগির মাংস রাখলে শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হার বেড়ে যায়।

মাছ: মাছে ভালো পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এ ছাড়া মাছে জিংক ও কপারের মতো খনিজ পদার্থও থাকে। শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে এসব খনিজের প্রয়োজন রয়েছে।

লেবুজাতীয় ফল: এই প্রকার ফলে ভালো মাত্রায় ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়ায়। লেবুজাতীয় ফলে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে নিয়মিত খাবারের প্লেটে রাখতে হবে লেবুজাতীয় ফল।

বেরি: স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি বা ব্লুবেরির মতো বেরি জাতীয় ফলগুলো আপনার ত্বকের জন্য কোলাজেন সমৃদ্ধ সুস্বাদু খাবারের উৎস হতে পারে। এগুলো কোলাজেনের সংশ্লেষণ প্রচারের পাশাপাশি ইউভি-প্ররোচিত ফটোড্যামেজের বিরুদ্ধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে।

ব্রকলি: আপনার খাবারে আরও ভিটামিন সি যোগ করার জন্য ব্রকলি একটি সুস্বাদু এবং সহজ সবজি হতে পারে। রান্না করা বা কাঁচা এক কাপ ব্রকলিতে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি কোলাজেন গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে কোলাজেনের সংশ্লেষণের জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজনীয় হলেও, আপনাকে একই সময়ে কোলাজেন পরিপূরক গ্রহণ করতে হবে না বা উচ্চ কোলাজেনযুক্ত খাবার খেতে হবে না।

সবুজ শাকসবজি: শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ম্যাংগানিজ। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ থাকে। তাই ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে পালং, বাঁধাকপি, ব্রোকলির মতো শাকসবজি।

সার্ডিন: মাছের হাড়, ত্বক এবং আঁশে বেশিরভাগ কোলাজেন থাকে। যেহেতু সার্ডিনের প্রায় সবটাই খাওয়া হয়, তাই কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে এটি দুর্দান্ত। সার্ডিনে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন পাওয়া যায়। সার্ডিন সাধারণত ক্যানে দেওয়া হয়। সার্ডিন ক্যান থেকে কাঁচা খাওয়া যায়, ভাজা হয় বা সালাদ বা টোস্টের অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।