ঢাকা, বুধবার ১৬, এপ্রিল ২০২৫ ২১:৪৮:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ইরাকে বালুঝড়: হাসপাতালে ভর্তি ৩ হাজার ৭’শ জন গাজায় প্রাণহানি ছাড়াল ৫১ হাজার চলন্ত ট্রেনে আগুন: দম্পতির লাফ, প্রাণ গেল শিশুর শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশি জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ মহাকাশ ঘুরে এলেন কেটি পেরিসহ ৬ নারী

নীলিমা ইব্রাহিমের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী নীলিমা ইব্রাহিমের জন্মদিন আজ। ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর বাংলাদেশের বর্তমান বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার এক জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

নীলিমা ইব্রাহিমের বাবার নাম প্রফুল্লকুমার রায়চৌধুরী ও মা কুসুমকুমারী দেবী। তিনি ১৯৩৫ সালে খুলনা করোনেশন বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, ১৯৩৭ সালে কলকাতা ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন থেকে আইএ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ১৯৩৯ সালে বিএবিটি পাস করেন। 

১৯৪৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় এমএ পাস করেন। ১৯৪৫ সালে মেয়েদের মধ্যে তিনি প্রথম ‘বিহারীলাল মিত্র গবেষণা’ বৃত্তি লাভ করেন। ওই বছরই তিনি ইন্ডিয়ান আর্মি মেডিকেল কোরের ক্যাপ্টেন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। 

কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কলকাতার লরেটো হাউজে (১৯৪৩-৪৪) লেকচারার হিসেবে চাকরি করেন। পরে দুই বছর ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের লেকচারার ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগে যোগ দেন এবং ১৯৭২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। পর্যায়ক্রমে তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান ও রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। 

এরপর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন নীলিমা ইব্রাহিম। তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ ও নারী উন্নয়ন সংস্থা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি মস্কোয় অনুষ্ঠিত বিশ্বশান্তি কংগ্রেস এবং ১৯৭৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব নারী সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। 

গবেষণা, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ ও ভ্রমণকাহিনীসহ নানা বিষয়ে তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ নানা পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন। ২০০২ সালের ১৮ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।