ঢাকা, রবিবার ০৮, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮:১৩:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন কুমিল্লায় বন্যায় ১১০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি যে কারণে বাড়ছে চালের দাম গাজায় টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা:নিহত ২৭ শুল্ক কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, ৩ জনের প্রাণহানী

নেপালে ভূমিধসে নিখোঁজ ৬৩ জনের সন্ধান চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নেপালি বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে নিখোঁজ প্রায় ৬৩ জনের অনুসন্ধান আজ শনিবার ভোরে পুনরায় শুরু করেছে উদ্ধারকারী দলগুলো। দুর্ঘটনায় মহাসড়ক থেকে দু’টি বাস ছিটকে পড়ে এবং একটি নদীতে ভেসে গেছে।

চিতওয়ান জেলার মধ্যাঞ্চলে শুক্রবারের ভূমিধসের কংক্রিটের সড়ক ডিভাইডার উপর দিয়ে যানবাহনগুলো ছিটকে পড়ে এবং রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৩০ মিটার নিচে পড়ে যায়।

কয়েক ডজন উদ্ধারকারী ত্রিশূলী নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে। নদীর ঘোলা পানি এবং প্রচন্ড  স্রোতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে সূর্যাস্তের আগে তারা উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।
যানবাহন বা তাদের আরোহীর কোনো চিহ্ন এখনো পাওয়া যায়নি।

চিতওয়ান জেলা প্রধান ইন্দ্রদেব যাদব এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশী চালাবো।’

তিনি বলেন, ‘পানির স্তর, স্রোত এবং পানির গভীরতা সত্ত্বেও আমরা অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য আমাদের সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করব।’

শুক্রবার জেলা কর্মকর্তা খিমানন্দ ভুসাল এএফপি’কে বলেছেন, বাসগুলো মধ্যে কমপক্ষে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। তবে তিনজন যাত্রী বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১শ’ কিলোমিটার পশ্চিমে নারায়ণঘাট-মুগলিং হাইওয়ে বরাবর ভোর হওয়ার আগে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
একটি বাস রাজধানী থেকে দক্ষিণ নেপালের রাউতাহাট জেলার গৌড়ের দিকে যাচ্ছিল এবং অন্যটি দক্ষিণ বীরগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল।

একই সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় এক চালক নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

খারাপভাবে নির্মিত রাস্তা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে নেপালে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এপ্রিল থেকে এক বছরে নেপালের প্রায় ২,৪০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

জানুয়ারিতে নেপালগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি বাস নদীতে পড়ে দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।
বর্ষা মৌসুমে সড়ক ভ্রমণ মারাত্মক হয়ে ওঠে কারণ, বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি দেশ জুড়ে ভূমিধস এবং বন্যা হয়।