পিতা হত্যার বিচার পেতে মেয়ে আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
ফাইল ছবি
এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। লক্ষ্য ছিল বাবার মতো শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু বাবা নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। চোখের সামনে পিতার হত্যাকারীদের ঘুরতে দেখে সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবী হওয়ার। এই দৃঢ় প্রত্যয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এস তাহেরের কন্যা অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুমের।
তথ্যমতে, ২০০৬ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের খুন হন। এরপর ড. তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যামামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে হত্যাকারীদের মুক্ত পরিবেশে ঘুরতে দেখে হতাশ হন তাহেরের পরিবার। এরপরই সেগুফতা সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবী হওয়ার।
ড. তাহের যখন খুন হন, তখন সেগুফতা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বাবার ইচ্ছায়ই আইন পড়া। হতে চেয়েছিলেন বাবার মতোই মানুষ গড়ার কারিগর; আইনের শিক্ষক। কিন্তু বাবা হত্যার ঘটনা জীবনের বাঁক বদলে দেয়।
সেগুফতা বলেন, বাবা যেহেতু শিক্ষক ছিলেন তাই বাসার সবার মধ্যেই প্রগতিশীল মনোভাব ছিল এবং আমরা সেভাবেই বেড়ে উঠেছি। এ ছাড়া স্বাধীন চিন্তা করার বিষয়টাও সবার মধ্যেই ছিল।
তিনি বলেন, আইন নিয়ে পড়াশোনা করে অনেক কিছুই করা যায়, তবে বাবার পেশা নিয়েই বেশি চিন্তা করতাম। শিক্ষকতা না করলেও হয়তো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আইন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বাবার ওই ঘটনার পর পরিবার থেকেই সিদ্ধান্ত হলো আমাকে অবশ্যই আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সেগুফতা আরও বলেন, যখন চার্জশিটভুক্ত আসামি জামিনে মুক্তি পায় তখন আমার সবাই নির্বাক হয়ে যাই। তখন আমরা বুঝলাম কোর্ট বা আইন অঙ্গনে পরিবারের কেউ সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলে আমরা হয়তো বিচারটা পাব না। তখন থেকেই ঠিক করে নেই আমার আইনজীবী হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত যখন চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে খালাস দেয়, সেগুফতা তখনও আইনের ছাত্রী। ২০১১ সালে হাইকোর্টে শুনানির সময় আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি। শুরু হয় সংগ্রাম। লক্ষ্য একটাই পিতা হত্যার বিচার নিশ্চিত করা। হাইকোর্ট পেরিয়ে আপিল বিভাগ। দুই আসামির ফাঁসি আর দুজনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল। ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো গত ৫ এপ্রিল। বাকি আছে আসামিদের রিভিউ। সবশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা। দুটি পর্যায় সমাপ্ত হলেই আসবে দণ্ড কার্যকরের ক্ষণ। সেই ক্ষণের অপেক্ষায় এখন ড. তাহের পরিবার।
- সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর অস্বাস্থ্যকর রাজধানীর বাতাস
- আমির খানের আমন্ত্রণে ওয়াসফিয়া নাজরিন
- ৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত
- পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ
- তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ
- শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ
- সাইফুল হত্যার প্রতিবাদ ও চিন্ময়ের মুক্তি দাবি হাসিনার
- দুই বছর পর ওয়ানডে দলে দিলারা আকতার
- আগুন থেকে বায়ু দূষণে বছরে ১.৫ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু
- সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা
- সৈকতের পার দখল-উচ্ছেদ ‘টম অ্যান্ড জেরি’র মতো চলছে
- ট্রাম্পের মনোনীত শীর্ষ মন্ত্রীদের ওপর বোমা হামলার হুমকি
- জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি
- সমন পেয়ে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মির আত্মসমর্পণ
- সোনামসজিদ দিয়ে এলো সাড়ে ৫ হাজার টন আলু-পেঁয়াজ
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- জীবনে প্রেম এসেছে ৬ বার: স্বস্তিকা
- পঞ্চগড় থেকে দেখে আসুন কাঞ্চনজঙ্ঘা
- বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া নিয়ে ভারতের নতুন বার্তা
- গৃহশ্রমিক মেয়েদের দিন কষ্টে কাটে
- এইচএসসির ফল দেখবেন যেভাবে
- ক্ষুধা লাগলে মেজাজ খারাপ লাগে কেন?
- ঢাকায় রাতভর বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে নগরবাসী
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি