ঢাকা, শনিবার ২১, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:০৪:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
প্রস্তাবনা আসা মাত্রই সংস্কার হবে না: রিজওয়ানা হাসান কম শুল্কে আমদানি হলেও হিলি বন্দরে কমেনি পেঁয়াজের দাম ৩ পার্বত্য জেলায় চলছে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ পার্বত্য অঞ্চল পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১৪২৩, আহত ২২ হাজার রাঙ্গামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট জাতিসংঘে গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে বাড়ছে চাপ

পুজার মরসুমে বাড়িতেই বানান স্বাস্থ্যকর কিছু মিষ্টি

| উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দুর্গাপুজোর উদ্‌যাপন শুরু হয়ে গিয়েছে। আলোর রোশনাইয়ে সেজেছে শহর থেকে শহরতলি। সন্ধের পর রাস্তার জনজোয়ারই বলে দিচ্ছে, উৎসবের মেজাজ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। সাজগোজ, নতুন পোশাক, ভূরিভোজ, বাইরে দেদার খাওয়াদাওয়া— যা-ই হোক, উৎসব কিন্তু মিষ্টিমুখ ছাড়া অসম্পূর্ণ। তবে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে মিষ্টি থেকে সচেতন ভাবে দূরে থাকেন অনেকে। বিশেষ করে কমবয়সিদের মধ্যে ওজন নিয়ে একটা সচেতনতা দেখা যায়। কিন্তু মিষ্টি খেলেই যে ওজন বাড়বে, তার কোনও মানে নেই। তেমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়। উৎসবের মরসুমে তিনি কয়েকটি স্বাস্থ্যকর মিষ্টির সন্ধান দিয়েছেন। স্বাদ আর স্বাস্থ্যের খেয়াল একসঙ্গে রাখতে উৎসবের আবহে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন সেগুলি।


তিল ড্রাই ফ্রুটস লাড্ডু
উপকরণ:
তিল: ২০০ গ্রাম
বাদাম: ২৫ গ্রাম
পেস্তা বাদাম: ২৫ গ্রাম
আখরোট: ২৫ গ্রাম
খেজুর: ২০০ গ্রাম
অরগ্যানিক গুড়: ৮০ গ্রাম
চারমগজ: ১০০ গ্রাম
পোস্ত: ২৫ গ্রাম
এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
জায়ফল গুঁড়ো: এক চিমটি
গলানো ঘি ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
প্রথমে কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা একসঙ্গে ৩-৫ মিনিট শুকনো খোলায় ভেজে ঠান্ডা হতে দিন।
এ বার তিলগুলি কড়াইয়ে খানিক নাড়াচা়ড়া করে ঠান্ডা করে নিন।

একই ভাবে পোস্ত এবং চারমগজ আলাদা আলাদা ভাবে ভেজে ঠান্ডা করে নিন।

সবগুলি পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন।
এ বার খেজুরগুলি টুকরো করে কেটে নিন। তার পর মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন।
এ বার খেজুরের মিশ্রণটির সঙ্গে গুঁড়ো করা তিল, ড্রাই ফ্রুটস, পোস্ত, চারমগজ, এলাচ, জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
এ বার একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। তাতে গুড় দিয়ে হালকা হাতে নাড়াচা়ড়া করে নিন। তার পর একসঙ্গে প্রতিটি উপকরণ মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটিতে ১ টেবিল চামচ ঘি মেশান এবং হাত দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। তার পর গোল লাড্ডুর আকারে গ়ড়ে নিন।
তিল ড্রাই ফ্রুটস লাড্ডু। 


ছানাপোড়া
উপকরণ:
দুধ: ১.৫ লিটার
লেবুর রস: ৩ টেবিল চামচ
কোকোনাট সুগার: ৩/৪ কাপ
সুজি: ২ টেবিল চামচ
বেকিং পাউডার: ১/৪ চা চামচ
এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
ঘি: ২ চা চামচ
ভাঙা কাজু: ২ টেবিল চামচ
কিশমিশ: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
প্রথমে লেবুর রসের সঙ্গে জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন।
এ বার দুধ গরম করতে বসান। ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে লেবুর রস ও জলের মিশ্রণটি মেশান।

দুধ কেটে ছানা তৈরি হলে, গ্যাস বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন।

তার পর একটি ছাঁকনিতে পরিষ্কার কাপড় রেখে জল থেকে ছানা আলাদা করুন।
এ বার ছানা ধুয়ে ১৫-২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখুন।
ছানাটি ভাল করে মেখে নিন। তার পরে সুজি, কোকোনাট সুগার দিয়ে আরও এক বার মেশান।
এ বার ২-৪ টেবিল চামচ ছানার জল, এলাচ গুঁড়ো, বেকিং পাউডার, ঘি, কাজু, কিশমিশ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন, যাতে মিশ্রণটি আঠালো হয়।
সামান্য ঘি দিয়ে একটি কেক টিন ব্রাশ করে নিন। তার উপর পার্চমেন্ট পেপার রাখুন এবং ছানার মিশ্রণটি ঢেলে দিন।
মাইক্রোওয়েভ ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রি হিট করুন এবং খাবারটি সোনালি রং হওয়া পর্যন্ত বেক করুন।
এ বার বার করে একটি ছুরি বা টুথপিক ঢুকিয়ে পরীক্ষা করুন। যদি দেখেন, কোনও সমস্যা ছাড়াই সেটি বেরিয়ে আসছে, তা হলে আপনার ছানাপোড়া তৈরি।


ছানা পোড়া 
ভাপা সন্দেশ
উপকরণ:
লো ফ্যাট পনির: ২৫০ গ্রাম
নলেন গুড়: ৮০-৯০ গ্রাম
এলাচ গুঁড়ো: ১/৪ চা চামচ
গোলাপ জল: ১/২ চা চামচ
ভাঙা কাজু: ১ টেবিল চামচ
গোলাপের পাপড়ি: ১/৪ চা চামচ
ঘি: ১/২ চা চামচ
ভাপা সন্দেশ। ছবি: সংগৃহীত।
প্রণালী:
প্রথমে পনিরগুলি ভাল করে চটকে নিন। তবে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলে বেশি ভাল হবে।
এই মিশ্রণে নলেন গুড় দিয়ে, এলাচ গুঁড়ো, কাজু, গোলাপ জল, গোলাপের পাপড়ি দিয়ে মেখে নিন।

এ বার একটি কেক টিনে কয়েক ফোঁটা ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন।

অভেনটি ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রি হিট করুন এবং ৩০ মিনিটের জন্য বেক করে নিন।
সন্দেশ তৈরি হয়ে গেলে বার করে নিন। ঠান্ডা হওয়ার জন্য ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন।
তার পর কিশমিশ আর আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

লেখক : ইউকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন এবং পেশায় পুষ্টিবিদ।
সৌজন্যে : দৈনিক আনন্দবাজার।