ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১, নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০৩:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে আজও অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বদলে গেছে ভূমিহীনদের জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫৪ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিশেষ উপহারের পাকা বাড়ি পেয়ে বদলে গেছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জীবনমান। ৩৩৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে পাকা বাড়ির সঙ্গে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানি পাওয়ায় এবং ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করাতে পারায় অনেক খুশি এসব অসহায় মানুষ। শুধু পাকা বাড়ি নয়, উপকারভোগীদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করাসহ সব ধরনের সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

হাকিমপুর উপজেলার পালিবটতলী গুচ্ছগ্রামে বাড়ি পাওয়া মকবুল আলী জানান, আমরা হিলিতে বালুরচর নামক বস্তিতে থাকতাম। ওটা ছিল রেলের জায়গা। ভূমি অফিস থেকে আমাদের গুচ্ছগ্রামে সরকারি ঘর দেওয়া হবে বলে কাগজপত্র চায়। সে অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ড জমা দেই। এখানে ঘর পাওয়ায় আমাদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে অসুবিধা একটাই, সেটা হলো এখানে কোনো কাজের ব্যবস্থা নেই। কাজ করতে হিলিতে যেতে হয়। এখানে কাজের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো।

ঘর পাওয়া মর্জিনা বেগম জানান, আগে আমরা খুব খারাপ অবস্থায় ছিলাম। মানুষের জায়গায় বেড়া দিয়ে মাটির ঘরে ছিলাম। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া পাকা বাড়ি পেয়েছি। আমরা বেশ অনেক শান্তিতে আছি। গরু-ছাগল লালন-পালন করছি, বাবা-মায়ের দেখাশোনা করতে পারছি, অনেক সুখেই আছি। আমরা জীবনে কল্পনাও করিনি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ইটের পাকা বাড়ি করে দেবেন, আর আমরা সেখানে থাকব। কিন্তু এখন বাস্তবতা, তার দেওয়া ইটের পাকা বাড়িতে আমরা বসবাস করছি। কিন্তু তিনি যদি আমাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা করে দিতেন, তাহলে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারতাম।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, যেসব পরিবার ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত হয়েছে তাদের জীবনমান উন্নয়ন ও আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলতে আত্মকর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির জন্য চেষ্টা করছি। এ উপজেলায় কৃত্রিম টুলের ক্যাপ তৈরির নতুন কাজের সূচনা হয়েছে। আমরা দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের নারীদের মাঝে এ কাজের প্রচলন করতে পেরেছি। এ ছাড়া কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে বেশ কিছু জায়গায় প্রদর্শনী খামার বা সবজির বাগান করা হয়েছে। যেখানে ১৮টি পরিবার এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বেশকিছু পরিবার গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও কবুতর পালন করছে। আরও যেসব পরিবার রয়েছে তারা যে ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের সেই কাজের মাধ্যমে আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।