ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৮:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

প্রেমের টানে কুমিল্লায় ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভালোবাসার টানে কুমিল্লায় এসে যুবককে বিয়ে করলেন ইন্দোনেশীয় তরুণী নাজিফা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর হোটেল এলিট প্যালেসের কনভেনশন হলে ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে তাদের বিয়ে। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন ওই যুবতী।

নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা উইলিয়াম সিনাগা ও মাসনিয়ার ডুলকের মেয়ে। সিনতা মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জন্মলগ্ন থেকেই তারা খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। সিনতা বাংলাদেশে প্রবেশের পর ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।


বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহাম্মদ ও ফরিদা ইয়াসমিনের ছেলে।

বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনে আছেন তিনি। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় একই কোম্পানিতে কাজ করা সিনতার সঙ্গে। একপর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব হয় দুজনের। পরে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান দুজন। সেই ভালোবাসাকে সত্যিকারের রূপ দিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

তিনি বলেন, সিনতা মালয়েশিয়া থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে এবং পরিবারের সম্মতিতেই আমাকে বিয়ে করেছে। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় ফিরব আমরা। সেখানে গিয়ে সেদেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। আমি তাদের আতিথেয়তায় ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। এখানকার সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে।

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপুর মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিদেশি মেয়েদের মন-মানসিকতা এত সুন্দর হয়, এত আন্তরিক হয় সিনতাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। সে আমার পুরো পরিবারের সাথে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এডজাস্ট হয়ে গেছে।