ঢাকা, সোমবার ১৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৮:৫৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চলে গেলেন ‘পথের পাঁচালী’র ‘দুর্গা’ উমা দাশগুপ্ত ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ গাইবান্ধায় নিখোঁজের ৪ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে হেভিওয়েট ১৩ আসামিকে

ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে

বাসস | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০২১ শুক্রবার

ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে

ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে

হলুদ রঙের নান্দনিক একটি ফুল সূর্যমুখী। দেখতে সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, তাই ফুলকে সূর্যমুখী বলে। সূর্যমুখী থেকে তৈরি তেলও পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। বিশ্বেজুড়েই সূর্যমুখী তেলের চাহিদা এখন ব্যাপক। আমাদের দেশেও ক্রমশ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, সূর্যমুখীর তেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুবই কম এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এই তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
প্রণোদনা-প্রদর্শনী ও উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে ফেনীতে সূর্যমুখী আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। বিপণনে ভালো দাম পাওয়ায় সূর্যমুখীতে আগ্রহী কৃষক৷ এতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ফেনীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৮ গুণ বেশী আবাদ বেড়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক মো. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কান্তি সেন জানান, চলতি রবি মৌসুমে ফেনী জেলার প্রায় ২৩৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। গত বছর আবাদের পরিমাণ ছিলো মাত্র ২৯ হেক্টর। গেল বছরের আলোকে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০ হেক্টর।
তবে আনন্দপুরের একজন ভূমির মালিক জানান, অনেক জমিতে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালোভাবে হয়নি।
উপ-পরিচালক জানান, এ বছর ১ হাজার কৃষককে ১৩৪ হেক্টর জমিতে প্রণোদনা দেয়া হয়। প্রণোদনায় সার ও বীজ পায় কৃষকরা। এছাড়া ৩৪০ জন কৃষককে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৪৫ হেক্টর জমিতে প্রদর্শনী প্লট করা হয়।
তিনি বলেন, যারা গতবার আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন এবং উৎপাদিত বীজ ভাঙিয়ে তেল বিক্রি করেও অধিক লাভ পেয়েছেন। ফলে তারা এ বছর আবাদের পরিমাণ বাড়িয়েছে। লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও সূর্যমুখী আবাদ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়লে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে দেশীয় উৎপাদিত তেলের ব্যবহারও বাড়বে।
বীজের মান নিয়ে কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলার কিছু কিছু জায়গায় সূর্যমুখীর অঙ্কুরোদগম নিয়ে অভিযোগ শুনেছি তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। গত বছর কৃষকের মাঝে যে মানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে এ বছরও একই বীজ সরবরাহ করা হয়। ধারণা করছি, এবারের সরবরাহকৃত বীজে সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি বলে কোথাও কোথাও অঙ্কুরোদগমে সমস্যা হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানান, সদরে এ বছর ৫৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনী কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৩৯ হেক্টর আবাদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, দাগনভূঞায় ৩৭ হেক্টর, সোনাগাজী ৬৮ হেক্টর, ফুলগাজী ৩০ হেক্টর, পরশুরাম ১৭ হেক্টর, ছাগলনাইয়ায় ৩২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। কৃষকদের মাঝে আরডিএস-২৭৫, হাইচাং, বারি-১ ও বারি-২ জাতের সূর্যমুখী বীজ সরবরাহ করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।