ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২০, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৫:০৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
১৮ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল পেলেন একুশে পদক ১৮ বছর পর সব মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন খালেদা জিয়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা গাজায় ১১০৯ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরতের নির্দেশ

বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল বাংলা একাডেমি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

অমর একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রি করায় একটি স্টল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা তৈরি হয়েছে। এদিকে মেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রির বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমির নয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


একইসঙ্গে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ড্রিমার ডংকি নীতিমালা ভঙ্গ করেছে উল্লেখ করে বইমেলায় বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলা একাডেমি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রি সংক্রান্ত একটা ইস্যু বহুজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে ও ফোনে বহুজন আমাদের কাছে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি সম্পর্কে বিশদ জানানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলা একাডেমি আয়োজক হলেও বইমেলার প্রয়োজনীয় কাজগুলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান করে থাকে। এবার এ দায়িত্ব পেয়েছেন ড্রিমার ডংকি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্পন্সরের সহায়তায় কাজটি করে থাকে। তবে তাদের কাজ করতে হয় মেলার নীতিমালা মেনে। এবার স্পন্সর ঠিক করার ক্ষেত্রে সংখ্যা এবং ধরন বিবেচনায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু নীতি লঙ্ঘন করেছে। তার মধ্যে একটি হলো অনুমতি না নিয়েই মেলার যত্রতত্র পণ্য-বিপণনের ব্যবস্থা করা। আমরা প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে বাধা দিয়ে আসছি। কিন্তু তারা নানা অজুহাতে নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।

স্যানিটারি ন্যাপকিন স্টল বন্ধের বিষয়ে বলা হয়, স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং ডায়াপার বিষয়ে তারা বাংলা একাডেমিকে জানিয়েছিল, ওয়াশরুমের পাশে রেখে নারী ও শিশুদের প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে এসব পণ্য সরবরাহ করবে। কিন্তু মেলা কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, তারা এ দুই পণ্যসহ আরও কিছু পণ্য বিক্রি করছে। ফলে তাদেরকে স্টল বন্ধ করতে বলা হয়। শুধু স্যানিটারি ন্যাপকিন নয়; ডায়াপার, পেস্ট ও ব্রাশসহ আরও কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান বারবার কথা দিয়ে কথা রাখছিল না। এর মধ্যে গত তিনদিন নিজেদের উদ্যোগে স্টল দুটি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া ড্রিমার ডংকির অনুরোধে শুধু কাগজ, পেন্সিল, কলম জাতীয় শিশুদের কিছু দ্রব্য বইমেলার শিশুকর্নারে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।
বিতর্ক প্রসঙ্গে সংস্থাটি জানায়, স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়ে গেছে বিধায় তারা বিপদে পড়েছে। এসব চুক্তির সঙ্গে একাডেমির কোনো সম্পর্ক থাকে না। তারা বলল, একটা চিঠি তারা স্পন্সর কোম্পানিকে দেবে, যেখানে বলা হবে ন্যাপকিন বিক্রি করলে সমস্যা হবে। তাদের কাজটা সহজ করার জন্যই কেবল বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক চিঠিতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেছেন। এ চিঠি বাংলা একাডেমি দেয়নি। আর কেউ স্যানিটারি ন্যাপকিন বন্ধ করার কথা বাংলা একাডেমিকে বলেওনি। আমরা অনেকগুলো পণ্য সম্পর্কে কথা বলেছি। কিন্তু ইভেন্ট, স্পন্সরসহ বিভিন্ন পক্ষ শুধু ন্যাপকিনের ব্যাপারটিকেই প্রধান করে তুলেছে।

স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে বলা হয়, বাংলা একাডেমি স্পষ্ট করে বলতে চায়, স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রসার ও ব্যবহার সম্পর্কে বাংলা একাডেমির কোনো প্রকার সংকোচ থাকার প্রশ্নই আসে না। বইমেলার পণ্যায়নের একটা ব্যাপার স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে অন্যভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তার প্রমাণ, একদিকে আমরা অন্য অনেকগুলো পণ্যের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিয়েছি। অন্যদিকে ইভেন্টকে বলেছি, সৌজন্য হিসেবে তারা যেন স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রয়োজনমাফিক বিতরণ করে। বইমেলায় আগেও এরকম বিভিন্ন জরুরি উপকরণ সৌজন্য হিসেবে বিতরণের ব্যবস্থা ছিল।

দুঃখ প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা দুঃখ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে ইভেন্ট ওয়াশরুমের পাশে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখার বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাইমেলায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ড্রিমার ডংকি বিভিন্ন ইসলামিস্ট গ্রুপের আপত্তির মুখে স্যানেটারি ন্যাপকিনের স্টল সরিয়ে নিতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে একটি চিঠি দেয়। যেখানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক সম্মতি দেন।