ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ১১:৫৫:৪৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাষ্ট্র সংস্কারই এই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮, বাড়ছে শীতের প্রকোপ আজ ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভারতে হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ১০ শিশুর মৃত্যু ডাকাতির সময় নিয়ে যাওয়া শিশু মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার

বন্যা পরিস্থিতিতে যেসব খাবার সংরক্ষণ করবেন

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১৮ জুন ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বন্যার সময় মোকাবিলা করতে হয় নানা সংকট। এসময় ‍সুস্থ ও নিরাপদে থাকার পাশাপাশি নজর দেওয়া জরুরি খাবারের দিকেও। বন্যার পানিতে নানা ধরনের জীবাণু মিশে থাকে। তাই সেই পানি যেন কোনোভাবে পেটে চলে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেতে হবে বিশুদ্ধ পানি। এসময় খাবারের সংকট দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। তাই খাবার সংরক্ষণ করাও জরুরি। যারা বন্যা কবলিত স্থানে রয়েছেন, তারা এই খাবারগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন-

চাল-ডাল
যখন খাওয়ার মতো কিছু সহজলভ্য থাকে না তখন হাতের কাছে চাল-ডাল থাকলে তা ফুটিয়ে খাওয়া যায়। বন্যার সময় পানিবন্দি হয়ে গেলে সংরক্ষণ করা চাল-ডাল দিয়ে সহজে খাবার তৈরি করা যাবে। দুর্যোগের সময়ে সংকট কাটাতে চাইলে তাই শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করুন। আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও খাবারের প্রয়োজনীয়তা বুঝে সংরক্ষণ করবেন।

আলু, তেল, পেঁয়াজ

সব ধরনের সবজি বেশিদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। তাই বন্যার সময়ে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন। দুর্দিনে এটি সবজি হিসেবে খেতে পারবেন। শুকনো স্থানে আলু সংরক্ষণ করুন। কারণ আলুতে পানি জমলে আলু পঁচে যেতে পারে। সেইসঙ্গে সংরক্ষণ করুন তেল, শুকনা মরিচ, পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসও।


মুড়ি, চিড়া ও অন্যান্য

বন্যার সময় খাবারের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সংরক্ষণ করতে পারেন শুকনো খাবার। শুকনো খাবারের নাম বললে সবার আগে মনে পড়ে মুড়ি কিংবা চিড়ার নাম। সেইসঙ্গে সংরক্ষণ করতে পারেন খই, নানা ধরনের বিস্কুট, টোস্ট ইত্যাদি। দুর্যোগের দিনে যেন না খেয়ে থাকতে হয় সেজন্য আগে থেকেই এগুলো কিনে রাখতে পারেন।

বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন

বন্যার সময় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকা জরুরি। কোনো অবস্থায়ই বিশুদ্ধ পানি ছাড়া পান করবেন না। পানি বিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা রাখুন। ফিটকিরি, ফিল্টার কিংবা পানি ফুটিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখুন। এতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় থাকবে না। পানির পাশাপাশি সংরক্ষ করুন খাবার স্যালাইনও। কারণ এসময় পেটে সমস্যা দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। এরকম অবস্থায় প্রাথমিক ঘাটতি মেটানোর জন্য পান করা যেতে পারে খাবার স্যালাইন।


গুড়, নারিকেল, খেজুর

সহজে পেট ভরে এমন শুকনো ফল হিসেবে রাখতে পারেন খেজুর। দুটি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকবে। সেইসঙ্গে এটি পুষ্টিরও জোগান দেয়। দুর্যোগের সময়ে শুকনো খাবার হিসেবে আরও সংরক্ষণ করতে পারেন গুড় ও নারিকেল। কিছু বাদামও সংরক্ষণ করতে পারেন। এটি শিশুদের জন্য হতে পারে উপযুক্ত খাবার।

প্রয়োজনীয় ওষুধ সংরক্ষণ করুন

প্রাথমিক চিকিৎসার যাবতীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম সংরক্ষণ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে আগে থেকে কোনো ওষুধ খেয়ে থাকলে সেগুলো কিনে রাখুন। কারণ বন্যা পরিস্থিতির কারণে প্রয়োজনের সময় সব ধরনের ওষুধ হাতের কাছে নাও পেতে পারেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন।