বাংলাদেশের পাখি : ১।। ঘাস রঙের বাঁশপাতি
অনু সরকার | উইমেননিউজ২৪.কমআপডেট: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ট্রি-ট্রি-ট্রি মিষ্টি শব্দে ওরা সারা আকাশ মাতিয়ে রেখেছে। শেষ বিকেলে দূর থেকে দেখে ওদের গায়ের রঙ বোঝা মুশকিল। কিন্তু লেজের নিচ দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা লম্বা কাঠির মতো কাঁটাটি দেখে সহজেই চেনা যায় এটি আমাদের অতি পরিচিত বাঁশপাতি পাখি। অনেকে ওকে সুঁইচোরা পাখিও বলে থাকে।
প্রায় দুই যুগ আগে আমি প্রথম এই সুন্দর পাখিটি দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে। একটি ইউক্যালিপটাস গাছের ডালে আলতো ভঙ্গিতে বসে ছিলো পাখিটি। তারপর শহর ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অনেকবার দেখেছি বাঁশপাতি পাখি।
এই সেদিন দেখে এলাম ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়ায় বাংলার স্বাধীন সম্রাট সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহর সমাধিস্থলে। এই সমাধিস্থলের চারপাশের আম-কাঁঠাল আর শিল-কড়াইয়ের ডালে ডালে এবং মুক্ত আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে বাঁশপাতি এতো মিষ্টি সুরে ডাকছিলো যে, ওদের ডাক শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকি।
লিকলিকে, ঘাস রঙের বাঁশপাতি পাখির আকৃতি চড়াই পাখির মতো। ওদের মাথায় আর ঘাড়ে লালচে বাদামির ছোপ আছে। চঞ্চু কালো এবং সরু, সামান্য বাঁকানো। চোখ ও গলায় কালো টারা দাগ রয়েছে। চিবুকের নিচের অংশের পালকের রঙ হালকা ফিরোজা। লেজের মাঝখানের লম্বা পালক দুটির প্রান্ত থেকে দুটি লম্বা কাঠির মতো কাঁটা নিচের দিকে নেমে গেছে।
ব্যস্ত রাজধানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শুরু করে দেশের সব অঞ্চলেই বাঁশপাতি দেখতে পাওয়া যায়। রাস্তার ওপর টেলিফোন ও বৈদ্যুতিক তারের ওপর ওরা বসে থাকে দল বেঁধে। আবার জোড়ায় জোড়ায় এক দল পাখিকে দূরের প্রান্তরে, আবাদি জমিতে, ঘাসের চারণভূমিতে বা জঙ্গলের পরিষ্কার জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
বেড়ার খুঁটিতে অথবা ঝোপের মাথায় বসে বাঁশপাতি পাখি কোনো উড়ন্ত কীট-পতঙ্গ দেখতে পেলে সাবলীল ভঙ্গিতে উড়ে গিয়ে শিকার ধরে আবার আগের জায়গায় এসে বসে। সূর্যাস্তের সময় বাঁশপাতি পাখির দল দল বেঁধে আশ্রয় নেয় ঝাঁকরা পাতাওয়ালা গাছের ডালে। সেখানেই এক সঙ্গে রাত্রীযাপন করে সকলে।
বাঁশপাতি পাখির প্রিয় খাবার মৌমাছি। এছাড়াও ওরা ফড়িংসহ অন্যান্য কীট-পতঙ্গ খেয়ে থাকে। শীতের শেষে ঢালু ক্ষেতের আইলে কিংবা রাস্তার ধারে মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গের মতো বাসা বানায়। এই সুড়ঙ্গ দৈর্ঘ্যে কখনো কখনো এক মিটারের মতো হয়। গ্রীষ্মকালে এই বাসায় ৫ থেকে ৭টি ডিম পাড়ে। গোলাকৃতির এই ডিমের রঙ সাদা। বাবা-মা মিলেই বাসা বানায় এবং বাচ্চাদের যত্ন নেয়।
বাঁশপাতি পাখির ইংরেজি নাম Green Bee Eater (গ্রিন বি ইটার)। বৈজ্ঞানিক নাম Merops Orientalis।
বাঁশপাতি আমাদের স্থানীয় পাখি। সবুজ বাঁশপাতি ছাড়াও আমাদের দেশে আরো দুই রকমের বাঁশপাতি পাখি রয়েছে। এরা হলো বড় পাহাড়ি বাঁশপাতি এবং হলদে মাথা বাঁশপাতি।
সৌজন্যে : বাংলাদেশ বার্ড ওয়াচার সোসাইটি
ছবি : ইন্টারনেট থেকে
- এন্টিবায়োটিক উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে: মৎস্য উপদেষ্টা
- ১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানি করা হচ্ছে
- পদত্যাগ করেছেন হাইকোর্টের তিন বিচারপতি
- রাজধানীতে তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- শীতে শক্তি বাড়াতে বয়স্কদের কী কী খাওয়াবেন
- যে ১০ লক্ষণে ডায়াবেটিস রোগের পরীক্ষা করাতে হবে
- মুনমুন সেনের স্বামীর মৃত্যু, শোকস্তব্ধ কন্যা রাইমা ও রিয়া
- অ্যানড্রয়েডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট কাজ না করলে কী করবেন
- যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের কারণে সবকিছু বদলে যাবে না
- শীতে বাড়ে খুশকি, দূর করতে করণীয়
- উত্তরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা
- বীজসহ আতা খেলে কী কী উপকার হয়, জানেন?
- কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে চললেও বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
- প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে করণীয়
- গোয়ায় জয়ার সঙ্গী হচ্ছেন মেহজাবীন
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- স্নাতক পাসে চাকরি দেবে আড়ং
- উর্দু সার্ভিস চালু করতে বাংলাদেশ বেতারে সভা
- সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
- যানজটে দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে