ঢাকা, সোমবার ১৮, নভেম্বর ২০২৪ ৫:২৪:৩১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বাহাত্তরেও সুরের জাদু ছড়াচ্ছেন রুনা লায়লা ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট লাফিয়ে বাড়া স্বর্ণের দামে হঠাৎ পতন, জানা গেল কারণ

বাবুই পাখির জন্য কৃষক রিপনের ভালোবাসা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

চারশ' বাবুই পাখির জন্য একজন কৃষকের ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার রামপুর গ্রাম। এ গ্রামে কৃষক রিপন মিয়ার পাখিদের প্রতি এ ভালোবাসা দেখা যায়।
সূত্রমতে, রামপুর গ্রামের মূল সড়কের পাশে একটি দীর্ঘ তালগাছ। গাছের মাথায় পাতায় পাতায় বাবুই পাখির দুই শতাধিক বাসা। সম্প্রতি গাছের মালিক গাছটি বিক্রি করে দেন। গাছের পাশেই রিপন মিয়ার ধানের জমি। রিপন খেয়াল করেন গাছটি বেপারি কেটে নিয়ে যাবে। কিন্তু এতে নষ্ট হবে প্রায় চারশ' পাখির আবাস। পরে তাল গাছটি তিনি কিনে নেন। এছাড়াও যত দিন গাছে পাখি থাকবে তিনি ততদিন সেটি বিক্রি বা কাটবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার পার হয়ে যেতে হয় সদর উপজেলার বলেশ্বর। তারপরের গ্রাম রামপুর। রামপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে সুন্দর সড়কটি গিয়ে মিলেছে তৈলকুপি বাজারে। রামপুর গ্রামের সড়কের পাশে তাল গাছটি। গাছ আর পাখি দেখতে এখানে ভরাসারে অবস্থিত সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় তরুণরা ভিড় করে।
কৃষক রিপন মিয়া বলেন, জমিতে ফসল ফলানো আর বাড়িতে গরু পালন তার মূল পেশা। জমির পাশের তাল গাছটিতে অনেক বাবুই পাখি কিচির মিচির শব্দ তুলে ডাকে। গাছের কাছে এসে পাখির শৈল্পিক বাসা বুনন আর ডাক শুনলে তার মন ভালো হয়ে যায়। তাদের গ্রামে এ রকম বাবুই পাখির বাসা বাঁধা তাল গাছ আর নেই। তাই তিনি গাছটি কিনে নেন।  
স্থানীয় সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ বলেন, পাখির প্রতি যতেœর বিষয়ে আমরা অনেক উদাসীন। সেখানে একজন কৃষক পাখির প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন সেটি বিরল। তার নিকট আমাদের অনেক শেখার আছে। তার মতো অন্যদেরও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত।
সামাজিক বন বিভাগের কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, দিন দিন পরিবেশ থেকে বৃক্ষ, পাখি ও বিভিন্ন প্রণি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এগুলো সংরক্ষণের বিকল্প নেই। কৃষক রিপন মিয়ার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

সূত্র: বাসস