ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২০:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে আজও অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

বিদ্যানন্দকে অ্যাপার্টমেন্ট দিতে চান তাসলিমা নাসরিন

তাসলিমা নাসরিন | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। মূলত প্রতিষ্ঠানটির পেজ থেকে একটি কোলাজ ছবি পোস্টের পরই যত সমালোচনার শুরু। এখন অনেকে প্রতিষ্ঠানের অতীতের অন্যান্য কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে অনেকে আবার প্রতিষ্ঠানটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের একজন প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখক তসলিমা নাসরিন একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি বিদ্যানন্দের প্রশংসা করেন।

“বাংলাদেশ নামক পোড়া দেশে ভালো কাজের দাম নেই। সত্যিকার দেশপ্রেমের মূল্য নেই।   সৎ এবং নিঃস্বার্থ মানুষের জায়গা নেই। ও দেশে সে কারণে আমার জায়গা হয়নি।  আমার সততা আর সভ্যতাকে ও দেশ চরম অপমান করেছে, চরম অসম্মান করেছে, সত্য বলেছি বলে আমাকে অন্যায় ভাবে অত্যাচার করেছে। ওই দেশে সত্য ভূলুণ্ঠিত, ওই দেশে মিথ্যের জয়জয়কার। ওই দেশের চরিত্র আমি খুব ভালো করে জানি, ওই দেশকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। 

ওই দেশের মূর্খ ধর্মান্ধরা বিদ্যানন্দ নামের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে লেগেছে, যেহেতু বিদ্যানন্দ ভালো কাজ করছে, যেহেতু বিদ্যানন্দ নিঃস্বার্থ এবং সৎ। বিদ্যানন্দ কী কী ভালো কাজ করেছে আমার জানার দরকার নেই। যখন অপশক্তি সরব হয় কারও বিরুদ্ধে, আমি বুঝি সে মানুষটি নিশ্চয়ই মানুষের মঙ্গলের জন্য জীবন উৎসর্গ  করেছে।  স্বার্থহীনতা ঠিক কী জিনিস এবং মানুষ কেন স্বার্থহীন হয় তা  বুঝতে স্বার্থান্ধ লোকের চিরকাল অসুবিধে হয়। 

আমি ভাবছি আমার শান্তিনগরের অ্যাপার্টমেন্টটি আমি বিদ্যানন্দকে দান করে দেব। ওই ফ্ল্যাটে বসে আমি এক সময় মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করার জন্য,  সুস্থ সুন্দর অসাম্প্রদায়িক  সমাজ গঠনের  জন্য,  নারীর সমানাধিকারের জন্য  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখালেখি করেছি। ওই ফ্ল্যাটে বসে বিদ্যানন্দের কর্মীরা মানুষের  দারিদ্র ঘোচানোর জন্য, মানুষকে শিক্ষিত এবং সভ্য করার জন্য কাজ করবে। স্বপ্নবান মানুষদের জন্য এটুকু কেন, এর চেয়েও অনেক বেশি করতে  পারি। সৎ এবং নিঃস্বার্থ মানুষরাই আমার উত্তরসুরি, তাদেরই আমি আত্মীয় বলে মানি।”