ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ৭:৪২:৪০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাইফুল হত্যার প্রতিবাদ ও চিন্ময়ের মুক্তি দাবি হাসিনার দুই বছর পর ওয়ানডে দলে দিলারা আকতার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সোনামসজিদ দিয়ে এলো সাড়ে ৫ হাজার টন আলু-পেঁয়াজ বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, রিমান্ড শেষে কারাগারে বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দক্ষিণখানে ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মুসাদ্দিকার (২১) বাবা শাহীন আলমের এক দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শাহীন আলমকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোছা. রেজিয়া খাতুন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শাহীন আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গত শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকার একটি ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সানজানা মোসাদ্দেক। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই সানজানার মা বাদী হয়ে নিহতের বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা শাহীন আলমকে আসামি করা হয়।

সানজানার আত্মহত্যার পর থেকে অভিযুক্ত আসামি আত্মগোপনে চলে যান। পরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকা থেকে অভিযুক্ত শাহিন আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার আগে তার বাবা শাহীন ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সুইসাইড নোট লিখে যান।

সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন, আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সঙ্গে থাকা যায়। কিন্তু অমানুষের সঙ্গে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।