ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ৯:৪৩:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

বিয়েবাড়িতে সংঘর্ষ, আহত ১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বান্দরবানের লামায় বিয়েবাড়িতে সামাজিক চাঁদা নিয়ে বর-কনেপক্ষ ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে বরসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শিলেরতুয়া গ্রামে কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন বর নাজমুল হোসেন (২১), কনের বাবা মো. হাসান (৫০), মা সালমা বেগম (৪০), গ্রামের সর্দার আব্দুল মান্নান (৪৮), এলাকার মুরুব্বি মো. রফিক (৪২), সাইফুল ইসলাম (৫২), বরপক্ষের বাদশা মিয়া (২৫), মো. রবিউল (১৭), ইমাম মেহেদী (১৮), মো. এরফান (২২), ইমরান (১৮), মোজাম্মেল (২১), সাঈম (১৭), মনি আক্তার (৫০), রেজিয়া বেগম (৬৫), পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার মো. ইউসুফ (৩০)ও আবু দাউদ (৪০)। 


কনের বাবা মো. হাসান বলেন, আলীকদম উপজেলা সদরের বাজারপাড়া এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে নাজুমল ইসলামের সঙ্গে আমার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের (১৮) বিয়ে ঠিক হয়। বুধবার পূর্ব শিলেরতুয়া মেয়ের নানার বাড়িতে অনুষ্ঠান করে মেয়েকে তুলে দেওয়া হচ্ছিল। মেহমানদের আপ্যায়ন চলাকালে সামাজিক চাঁদা নিয়ে বর ও কনেপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ৬০-৭০ জন হামলা করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

শিলেরতুয়া নয়াপাড়ার বাসিন্দা খতিজা বেগম বলেন, আলীকদমের মেহমানদের শিলেরতুয়া গ্রামের লোকজন নৃশংসভাবে মেরেছে।

কনের মা সালমা বেগম বলেন, ‌‌এলাকার সবাই ডাকাত। সবাইকে দাওয়াত দিতে পারিনি বলে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী ভাঙচুরের পাশাপাশি বিয়ের মালামাল ও মেয়েদের গয়না লুট করে নিয়ে গেছে।

গুরুতর আহত মো. রফিক বলেন, ‘সমাজের চাঁদা নিয়ে কথা হচ্ছিল। সামান্য বিষয় নিয়ে বরপক্ষের লোকজন বড় ভাই সর্দারের গায়ে হাত তোলেন। আমাদের তিনজনকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পরে এলাকার লোকজন শুনে কী করেছে আমরা জানি না।’

লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম শেখ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনার পরে কনেকে তার বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে নিরাপদে বরের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন থানায় মামলা করলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।