ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৯:২৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

বেঁচে নেই গাজার আল-শিফার আইসিইউর কোনো রোগী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২৫ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজার আল শিফা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) কোন রোগীই আর বেঁচে নেয় বলে  জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া রয়টার্সকে জানান, হাসপাতালের আইসিইউর কোন রোগীই এখন আর বেঁচে নেই, প্রতিমুহূর্তে একজন করে ফিলিস্তিনি মরছে।
হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর চিকিৎসা কার্যক্রমে বাধার কারণে আইসিইউ, এনআইসিইউর সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পর রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। যদিও চিকিৎসকরা এখনও রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে  খাবার, পানি ও বিদ্যুতের অভাবে কোন ভাবেই ঠিক রাখা যাচ্ছে না চিকিৎসাসেবা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধে করে রাখার কারণে, মৃতদেহগুলোকেও হাসপাতালের মধ্যেই গণকবর দিতে হচ্ছে। এদিকে, হাসপাতালের অবস্থা নিষ্ঠুর ও বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে।
ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ২৫টি হাসপাতাল ও ২৫০ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্স। ৯৫ হাজারেরও বেশি সরকারি স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে বলে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গাজার খান ইউনিস এলাকার কয়েকটি শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ের উদ্দেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দখলদাররা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, জিম্মি করা হয় ২৫০ জনকে। এরপরই পাল্টা প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি মারা গেছে যার এক তৃতীয়াংশই শিশুই।