ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৪:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪ তেল-আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি নেই, মাছের বাজার চড়া ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজাল’ অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

ভাই-বোনকে বাঁচিয়ে নিজে প্রাণ দিলেন সৌদি তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ৬ আগস্ট ২০২৩ রবিবার

নিহত ২১ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রিমা মান্না রশিদ।

নিহত ২১ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রিমা মান্না রশিদ।

মারাত্মক এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র ২১ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রিমা মান্না রশিদ। তবে তার এমন মৃত্যুকে বীরত্ব এবং সাহসী বলে আখ্যায়িত করছেন সৌদি আরবের সর্বমহলের জনসাধারণ। মূলত নিজের জীবন দিয়েই ছোট তিন ভাই-বোনকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন রিমা।

জানা গেছে, আর কয়েক দিন পরই সৌদি আরবের কিং খালিদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার পোর্টে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রিমার। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনে যাচ্ছিলেন তিনি। গন্তব্য ছিল রিজাল আলমা প্রদেশের হাসওয়া নামে একটি গ্রামে। পথে একটি পাহাড়ি রাস্তায় তাদের বহন করা গাড়িটিতে হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।

এ অবস্থায় বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য গাড়ি থেকে নেমে যান রিমার বাবা ও বড় ভাই। কিন্তু তারপরই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। গাড়িটি হঠাৎ পাহাড়ি ঢাল বেয়ে তীব্র বেগে ছুটতে শুরু করে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে গাড়িতে থাকা ছোট তিন ভাই-বোনকে অনেক চেষ্টায় বাইরে ছুড়ে মারেন রিমা। তবে ভাই-বোন বেঁচে গেলেও নিজে শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি। গাড়িটি পাহাড়ের প্রায় ৪০০ মিটার নিচে গিয়ে আছড়ে পড়ে এবং তিন টুকরো হয়ে যায়। মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রিমা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিমার বাবা জানান, রিমা চাইলেই নিজেকে বাঁচাতে পারতো। কারণ, সে দরজার পাশেই বসেছিলেন। তবে সে এটি না করে ছোট ভাই-বোনের প্রাণ বাঁচানোকেই প্রাধান্য দিয়েছে ।

রিমার মৃত্যুর খবরটি দিয়ে তার এক আত্নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘পরিবারের প্রতি রিমার ভালোবাসার কথা সবাই জানে। কিন্তু জীবন উৎসর্গ করার আগে ভাই-বোনদের কাছে মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন রিমা। অবশেষে নিজের শেষ নিশ্বাস দিয়ে ভাই বোনদের জীবন রক্ষা করে গেলেন।’

রিমার এমন সাহসিকতা এবং ভাই বোনদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সৌদি আরবের সর্বস্তরের জনসাধারণ।