ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৫:৫১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সোনামসজিদ দিয়ে এলো সাড়ে ৫ হাজার টন আলু-পেঁয়াজ ৮ দফা অস্ত্রোপচারের পর ঘরে ফিরেছে জোড়া শিশু নুহা-নাভা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা শুরু হবে ওমরাহ পালনের পর তীব্র শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে

ভারতীয় ভিসা সেন্টারে ঢুকে হুমকির অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০৫ পিএম, ৭ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজশাহীতে ভারতীয় ভিসা দেয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাত ও ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ ও কর্মচারীদের হুমকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নুরুন্নাহার খাতুন মিলি নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন। তিনি জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) নগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পেরে আজ (শুক্রবার) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার নুরুন্নাহার খাতুন মিলি নগরীর উপশহর এলাকার সেক্টর-১ এ ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি রাফি টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।

এ ব্যাপারে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, কিছুদিন আগে একজন আবেদনকারী তার পরিবারের তিনটি ভিসার কাগজপত্র নিয়ে আসেন। আমরা তার আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে দেখি তিনি আবেদনের নির্ধারিত ফি জমা না দিয়েই এসেছেন। তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়। এ সময় আবেদনকারী জানান তিনি রাফি টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের এক নারীর মাধ্যমে অনলাইনে ভিসার ফি পরিশোধ করেছেন। তিনটি ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ৫২০ টাকা। অথচ ওই আবেদনকারীর কাছ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েও কোনো টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আবেদনকারীকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর ৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে নুরুন্নাহার খাতুন মিলি এসে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের অফিসের সকল স্টাফকে হুমকি-ধামকি প্রদানসহ চাকরি থেকে বরখাস্তের ভয় দেখান। ঘটনার পর অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়।

এদিকে, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারকৃত ওই নারী অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভিসা করিয়ে দেয়াসহ ভারতীয় হাসপাতালে রোগী পাঠানোর কাজ করেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতারা তার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো কথা কলতে গেলে ভুক্তভোগীদের ফাঁসিয়ে দেয়া হতো। এই ভয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে সাহস করতো না।

এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, নগরীর ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা মিলির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার দুপুরে তাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।