ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৪:০৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

ভারতে কন্যাশিশুর মৃত্যুর হার বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৭:০৮ পিএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কন্যা সন্তানের চেয়ে পুত্র সন্তানকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার কারণে ভারতে প্রতিবছর দুই লাখ ৩৯ হাজারের বেশি মেয়ে শিশু মারা যাচ্ছে। মারা যাওয়া এসব শিশুদের বয়স পাঁচ বছরের কম।

 

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে বিপুল সংখ্যক নারী থাকলেও ৬৩ মিলিয়নের বেশি নারী সে দেশে পরিসংখ্যানে অনুপস্থিত। দেশটির সরকারি বাৎসরিক প্রতিবেদনেও তাদের অনুপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

 

এক দশকের মধ্যে মারা যাওয়া ২৪ লাখ মেয়ের এ তালিকায় গর্ভাবস্থায় নষ্ট করে ফেলা ভ্রুণের হিসাব সংযুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে সিএনএন। “লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে মেয়েদের কেবল জন্মের ক্ষেত্রেই বাধা দেয়া হয় না, যারা জন্মেছে তাদের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এটি অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা, চাকরি কিংবা রাজনীতিতে প্রতিনিধিত্ব করাই লৈঙ্গিক সমতার ব্যাপার হতে পারে না, একইসঙ্গে এটি যত্ন, টিকা, মেয়েদের পুষ্টি ও সর্বোপরি বেঁচে থাকার ব্যাপার,” ল্যানসেট মেডিকেল সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফল সম্বন্ধে এ মন্তব্য করেন সহ-গবেষক ক্রিস্টোফ গুইলমোটো।

 

ভারতের জেলা পর্যায়ে ৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের, এড়ানো সম্ভব, এমন মৃত্যুর সংখ্যা খতিয়ে দেখার লক্ষে প্রথমবারের মতো এ গবেষণাটি চালানো হয়। এতে ৬৪০টি জেলার নারীদের, এড়ানো সম্ভব, এমন মৃত্যুহারের সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক প্যাটার্ন সম্বন্ধেও ধারণা পাওয়া গেছে। স্বাভাবিক অসুখবিসুখে যতজন মারা যেতে পারে তার অনুমান ও বাস্তবে ঘটিত মৃত্যুর সংখ্যার পার্থক্যকেই ‘এড়ানো সম্ভব মৃত্যু’ কিংবা ‘অতিরিক্ত মৃত্যুহার’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়।

 

ভারতের ক্ষেত্রে এ মৃত্যুহার সম্পর্কে জানতে গবেষকরা জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্যভান্ডার থেকে ৪৬টি দেশের তথ্য নিয়ে তুলনা করে দেখেন। লিঙ্গ বৈষম্য ছাড়াই সেসব দেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী মেয়েদের মৃত্যুহারের সঙ্গে ভারতের বাস্তব অবস্থার তুলনা করে দেখেন গবেষকরা। তারা দেখেন, ভারতের ৩৫টি রাজ্যের মধ্যে ২৯টিতেই ৫ বছরের নিচে কন্যা শিশুদের মৃত্যুহার অত্যাধিক।

 

২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে এ মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ১৮ দশমিক ৫ ছিল বলেও জানিয়েছে সিএনএন। এর অর্থ, লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে ওই সময়ে প্রতি বছর ওই বয়সী আড়াই লাখ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। পাঁচ বছরের কম বয়সী মেয়েদের প্রায় ২২ শতাংশ লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে মারা পড়ছে, সোমবার এক বিবৃতিতে জানান অস্ট্রিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্ল্যায়েড সিস্টেম অ্যানালিসিসের (আইআইএএসএ) গবেষকরা।

 

গবেষকরা বলছেন, ভারতজুড়ে কন্যা শিশুর অতিরিক্ত মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশই হয় উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম চার রাজ্য উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশে। আইআইএএসএ-র এ গবেষণা দলের সদস্য নন্দিতা সাইকিয়া বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ভারতের নারীদের সুযোগসুবিধা দিতে যেভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে তার পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে হওয়া ক্ষতির দিকে সরাসরি আঙ্গুল তোলাও জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

গবেষণায় এ ধরনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে ছেলে সন্তানের প্রতি বেশি পক্ষপাতিত্ব এবং কন্যা সন্তানকে অনাহূত হিসেবে বিবেচনা ও অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। এসব কারণে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে ছেলে ও মেয়ে শিশুর অনুপাতে তুলনামূলক বেশি পার্থক্য দেখা যায়, ভারত তার মধ্যে একটি বলেও ধারণা সিএনএনের।