ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৩:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
১৭ বছর পরও সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলবাসী গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকে ক্ষুধার্ত মানুষের হানা ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শেখ হাসিনাকে নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় নির্বাচন কবে জানালেন ড. ইউনূস

মায়েদেরও মন খারাপ হয়!

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ৮ মে ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আপনার মন খারাপের গুরুত্ব আপনার কাছে অনেক। কে আপনাকে কতটুকু ব্যথা দিল তা আপনি কখনোই ভোলেন না। সুযোগ পেলে হয়তো তার কিছুটা ফেরতও দিতে চান। নিজেকে ভালোবাসেন বলেই এমনটা করেন। এটুকু সবারই বোঝার কথা। কিন্তু এই আপনিই মায়ের মন খারাপের প্রসঙ্গ এলে অবাক হয়ে যান, মায়ের কেন মন খারাপ হবে! না চাইতেই সবকিছু পেয়ে যাওয়ার অভ্যাস যেহেতু, আপনি ধরেই নিয়েছেন আপনার মা এসবকিছু করতে বাধ্য। তিনিও যে আপনার মতোই একজন মানুষ, তা অনেক সময়েই আপনার মনে থাকে না।

আমরা বেশিরভাগ সন্তানই কেবল নিজের দিকটা দেখি। মা আমাদের জন্য কতটুকু করলেন, কাকে কী দিলেন এবং দিলেন না সেই হিসাব নিয়েই ব্যস্ত থাকি। মায়েরও যে বিশ্রাম প্রয়োজন সেকথা আমাদের মাথায় থাকে না। যখন ছোট ছিলেন, যখন নিজে একা কিছুই করতে পারতেন না, তখনকার কথা ভিন্ন। কিন্তু বড় হতে হতে আপনারও কিছু দায়িত্ব চলে আসে। মায়ের মুখের হাসি ধরা রাখার কাজটি সেই দায়িত্বেরই অংশ। মাকে রাত-দিন বাড়ির কাজে খেটে যেতে দেবেন না। তার বিশ্রামের ব্যবস্থা করুন। তার মুখটা গোমড়া দেখলে পাশে বসে দুটো কথা বলুন। তার ভরসার স্থল হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।


কাজে সাহায্য

মাকে কাজে সাহায্য করুন। সাহায্য ঠিক নয়, কিছু কাজের দায়িত্ব নিজেই নিয়ে নিন। একটি সংসার একটি প্রতিষ্ঠানের মতো। কারও একার অংশগ্রহণে তা চলতে পারে না। তাই সংসারের সবাইকে কিছু না কিছু দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। নিজে সুস্থ সবল হয়েও সব কাজ মায়ের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। নিজের কাজগুলো তো করবেনই, সেইসঙ্গে অন্যান্য কাজও ভাগ করে নিন। এতে মায়ের ওপর চাপ অনেকটাই কমে আসবে। তার মন ভালো রাখাও সহজ হবে। মায়ের কাজে আসতে পারলে ভালো থাকবে আপনার মনও। শুরুতেই দায়িত্ব নিতে শিখলে পরবর্তীতে আপনি যেকোনো কাজ সহজে সম্পন্ন করতে পারবেন।


বিশ্রামের ব্যবস্থা

মায়ের বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিন। মা কোনো যন্ত্র নয় যে অবিরাম খেটে যাবে। তাই মা যদি অভ্যাসের কারণে বিশ্রাম নিতে নাও চান তবু জোর করে তাকে বিশ্রাম নিতে পাঠান। প্রয়োজনে তার বাকি কাজগুলো আপনি করুন বা অন্য কাউকে দিয়ে করানোর ব্যবস্থা করুন। কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে পারলে মায়েরা দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারবেন। প্রথমে নিজের দিকে খেয়াল করুন, আপনি কখন আরাম চান, কখন কাজ করতে চান তা ভেবে দেখুন। আপনার মা আপনার মতোই একজন মানুষ। তাই তার জন্যও সেভাবে বিশ্রামের ব্যবস্থা করুন।

মায়ের ভালোলাগার কাজ

মা কোন জিনিসগুলো বেশি ভালোবাসে তার খোঁজ কি নিয়মিত রাখেন? না রাখলেও সমস্যা নেই। আজ জেনে নিন। এরপর সেই অনুযায়ী কাজ করুন। মায়ের ভালোলাগার কাজগুলো করলে তার মন খারাপ কি আর থাকতে পারে? যখন আপনার প্রচেষ্টাগুলো মায়ের চোখে পড়বে, তার মন খারাপের মেঘ এক নিমিষেই দূরে সরে যাবে। তাই এমন কাজগুলো খুঁজে বের করুন, যেগুলো আপনার মায়ের পছন্দের।

ঘুরতে নিয়ে যাওয়া

আপনি তো বেশ বন্ধু-স্বজনের সঙ্গে বাইরে ঘুরে বেড়ান, মাকে নিয়ে ক’দিন ঘুরতে বের হয়েছেন? মাঝে মাঝে মাকে নিয়েও ঘুরতে বের হোন, এতে তার ভালোলাগবে। মায়েরও নিশ্চয়ই বন্ধু রয়েছে? তাদের সঙ্গে ঘুরতে কিংবা বেড়াতে যেতে চাইলে সেটিও সহজ করে দিন। সংসারের কাজের চাপে তাকে আটকে রাখবেন না। আপনি, আপনার বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চাইলেই মায়ের জীবনটা আরেকটু সহজ হতে পারে। সেকথা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?