ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ৫:৩৬:০৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে সংঘর্ষ, আইনজীবী নিহত ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ জনের প্রাণহানী কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় নারীসহ ৫ অটোরিকশা যাত্রী নিহত ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম গ্রীসে অভিবাসীদের নৌকাডুবি: ৬ শিশুর মরদেহ উদ্ধার ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে নীলফামারী

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে হাতিরঝিলে কিশোরীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:০৮ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর হাতিরঝিলের পানিতে লাফিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যার নেপথ্যে মায়ের সঙ্গে অভিমান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন ব্রিজ থেকে পানিতে লাফ দেন রিয়া। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রিয়া দুদিন আগে বাসা থেকে বের হয়। এরপর তার এক বান্ধবীর সঙ্গে বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। সঙ্গে থাকা বান্ধবীকে ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় আটক করা গেলেও রিয়াকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সন্ধ্যায় রিয়ার বান্ধবী আনিলাকে আটকের খবর পেয়ে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে রিয়া। এক পর্যায়ে হাতিরঝিল এলাকায় রিয়ার সন্ধান পাওয়া যায়। তাকে বাসায় ফিরিয়ে নিতে মা হাতিরঝিল আসছে বুঝতে পেরে পানিতে লাফ দেন রিয়া। তাকে বাঁচাতে পাশে থাকা এক হাওয়াই মিঠাই ব্যবসায়ীও পানিতে লাফিয়ে পড়েন। কিন্তু ততক্ষণে তলিয়ে যান রিয়া।

নিহত রিয়া ভাটারা থানার নুরের চালা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাস করত। তার বাবা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করে।

রোববার (২৩ জুলাই) সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ  মো. আওলাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রিয়া তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফেরেনি। তাদের দুজনই এসএসসি পরীক্ষার্থী। গতকাল শনিবার তার মা তাকে সর্বশেষ বনানীর কড়াইল বস্তি এলাকায় দেখে। কিন্তু সে মাকে দেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শনিবার রাতে রিয়ার মা থানায় এসে বিস্তারিত জানালে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দেখতে পাই তাদের অবস্থান বনানী এলাকায় ছিল।

তিনি আরও বলেন, রিয়ার সঙ্গে থাকা বান্ধবীর বাসা শাহজাদপুর এলাকায়। তার বাবা প্রবাসী। শাহজাদপুর এলাকায় তার এক খালার সঙ্গে থাকত। পরে তাকে বাসা থেকে ভাটারা থানায় নিয়ে আসা হয়। এই সময়ে সে ফোনে তাকে থানায় আনার বিষয়টি একজনকে জানায়। বিষয়টি রিয়াও জানতে পারে। পরে হাতিরঝিল এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করা এক হকারের মোবাইল থেকে তার মাকে ফোন করে তাকে খোঁজার কারণ জানতে চায় ও বান্ধবীকে আটক করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। তার বান্ধবীকে আটকের কারণ জানতে চায়।

রিয়ার মা হাওয়াই মিঠাই ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করেন, তার মেয়েকে যেন কিছুসময় দেখে রাখেন। বিষয়টা বুঝতে পেরে হাতিরঝিল ব্রিজ থেকে পানিতে লাফ দেন। পরপর হাওয়াই মিঠাই দোকানিও পানিতে লাফ দেন। কিন্তু ততক্ষণে পানিতে তলিয়ে যান রিয়া। পরে তাকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে।