ঢাকা, বুধবার ০২, এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০২:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ১২ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায় লাখো পর্যটকের উল্লাসে মেতে উঠেছে কক্সবাজার সৈকত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানী ছাড়ছে মানুষ, ফিরছে অনেকে ১২ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায় চট্টগ্রামে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১০ জনের প্রাণহানী

মুরগি এবং মসলার দর চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৫ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঈদ উপলক্ষে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে সাধারণভাবে তা অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে। বিশেষত, মুরগির দাম বেড়েছে, যেমন ব্রয়লার, সোনালি ও দেশি মুরগি। মসলার দামেও কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে, তবে ক্রেতাদের মতে, এসব দাম এখনও নাগালের মধ্যে রয়েছে।

শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল ও কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩১০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০-৩০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়েছে। এর আগে ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হতো। দেশি মুরগির দামও বেড়ে ৬৫০-৬৮০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৬১০-৬৪০ টাকা।

টাউন হল বাজারের মুরগি বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন জানান, ঈদের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে, যা ক্রেতাদের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলছে।

মাছের দামেও কিছুটা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। চিংড়ি, রুই, ও আইড় মাছের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

গরুর মাংস বর্তমানে ৭৫০-৭৮০ টাকা প্রতি কেজি এবং খাসির মাংস ১,০০০-১,২০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মসলার দাম গত পাঁচ-ছয় মাসের তুলনায় অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে দারুচিনি ও গোলমরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে। টাউন হল বাজারের মসলা ব্যবসায়ী পলাশ পাল জানান, দারুচিনি ও গোলমরিচের দাম কেজিতে ৪০ ও ৮০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া এলাচি, লবঙ্গ, কালো গোলমরিচ ও সাদা গোলমরিচের দামও কিছুটা বেড়েছে।

মাছের বাজারে ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েছে, বিশেষত রুই-কাতলা ও পাঙাশের দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে।

সবজির বাজারে দাম এখনো অনেকটা স্থিতিশীল, তবে লেবু ও শসার দাম রোজার শুরু থেকেই কিছুটা চড়া রয়েছে। শসার দাম ৮০-১০০ টাকা প্রতি কেজি এবং লেবুর দাম প্রকারভেদে ৪০-১২০ টাকা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, সেমাই ও পোলাওয়ের চালের দাম পূর্বের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রাম লাচ্ছা সেমাই ৫০ টাকা এবং সাধারণ লম্বা সেমাই ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোলাওয়ের চাল ১০০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় প্রতি লিটার তেলের দাম ১৭৫ টাকা রয়েছে।

শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা সাবরিনা সারোয়ার বলেন, "ঈদের আগে মাছ, মুরগি, চাল ও মসলার দাম বেড়ে গেছে, যা আমাদের পরিবারের খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।"

সার্বিকভাবে, ঈদ বাজারে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, তবে তা সঙ্গত কারণেই এবং ক্রেতাদের জন্য অতিরিক্ত ভারি হয়নি।