ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১৮:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তাপমাত্রা নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে

মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণে চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেয় ববিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মেয়েকে আদর্শ শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন হৃদরোগে আক্রান্ত বগুড়ার ধুনট উপজেলার শাহেলা খাতুন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন দেখে যাওয়া হলো না। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন তিনি। মাকে চিরনিদ্রায় রেখে সকল কষ্ট চেপে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের দলিলুর রহমানের মেয়ে ববিতা খাতুন।

জানা গেছে, হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে শাহেলা খাতুনের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছেন গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ববিতা। পরীক্ষার হলে অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে বসে বারবার চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন তিনি।

পরীক্ষার আগে মেয়েকে নিজ হাতে তৈরি করে দোয়া দিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাবেন মা, এটাই ছিল হয়তো স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু লড়াকু ববিতার ভাগ্যে তা আর হয়নি। মায়ের নিকট থেকে দোয়ার পরিবর্তে মাকে কবরে রেখে কেন্দ্রে আসতে হয় তাকে। মমতাময়ী মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে কেন্দ্রে এসেছিল সে।

ববিতা খাতুন বলেন, আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি চাইতেন আমি যেন পড়াশোনা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আমাকে শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। তাই মায়ের কথা ভেবেই পরীক্ষা দিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ খবর পেয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর্জা ওমর ফারুক ববিতার খোঁজ খবর নিতে পরীক্ষা কক্ষে যান। তিনি শোকাহত ববিতার পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেন। এসময় কক্ষের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চোখেও পানি চলে আসে। ববিতা ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়া ও বাড়িতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন কেন্দ্র সচিব।